ডিজিটাল রূপান্তরে ডেটা অ্যানালিটিকসের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা

ডিজিটাল ফাস্ট-মডার্ন ওয়ার্ক প্লেস নিয়ে আলোচনা করেন বিভিন্ন খাতের তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা। ছবি: ইজেনারেশনের সৌজন্য
ডিজিটাল ফাস্ট-মডার্ন ওয়ার্ক প্লেস নিয়ে আলোচনা করেন বিভিন্ন খাতের তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা। ছবি: ইজেনারেশনের সৌজন্য

ডেটা অ্যানালিটিকসের প্রয়োজনীয় সেবা এখন হাতের নাগালেই। সম্প্রতি ডেটা অ্যানালিটিকস নিয়ে মাইক্রোসফট ও দেশি তথ্যপ্রযুক্তি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ইজেনারেশন যৌথভাবে ‘ডিজিটাল ফাস্ট-মডার্ন ওয়ার্কপ্লেস: এনগেজড কাস্টমার, এমপাওয়ার্ড এমপ্লয়িজ অ্যান্ড অপটিমাইজড অপারেশনস’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এ আয়োজনে ডেটা, শক্তিশালী ম্যাট্রিক্স ও অ্যানালাইটিকস টুলস ব্যবহার করে কর্মক্ষেত্রের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি, কর্মীদের সম্পৃক্ততা বাড়ানো এবং ব্যবসায় প্রক্রিয়ার প্রবৃদ্ধি বিষয় তুলে ধরা হয়।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন খাতের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা (সিটিও) এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের প্রধানেরা অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইজেনারেশনের চেয়ারম্যান শামীম আহসান এবং স্বাগত বক্তব্য দেন মাইক্রোসফট বাংলাদেশ, ভুটান, ব্রুনাই দারুসসালাম এবং নেপালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফিফ মোহাম্মদ আলী। অনুষ্ঠানে ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান সায়েম আহমেদ, আইপিডিসি ফিন্যান্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মমিনুল ইসলাম বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

আফিফ মোহাম্মদ আলী বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের এ যুগে নিরাপত্তা সবচেয়ে বড় বিষয়। সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানগুলো ক্লাউড সেবা বাস্তবায়ন শুরু করেছে। এটা শুধু কার্যকারিতা এবং খরচ কমানোর জন্য নয়। পাশাপাশি ব্যবসায়ের কৌশলগত লক্ষ্য অর্জন করা এবং বিদ্যমান সেবার নিরাপত্তা ও প্রাইভেসির মান বাড়ানোর জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। গার্টনার ২০১৯ সালে এন্ডপয়েন্ট প্রোটেকশন প্ল্যাটফর্ম এবং ক্লাউড অ্যাক্সেস সিকিউরিটি ব্রোকারের (সিএএসবি) নেতৃত্বদানকারী হিসেবে মাইক্রোসফটকে স্বীকৃতি দিয়েছে। বাংলাদেশি গ্রাহকদের পুরোপুরি ইন্টিগ্রেটেড সেবা দেওয়া হচ্ছে।

শামীম আহসান বলেন, বৃহৎ ডিজিটাল অর্থনীতিতে ডেটাকে নতুন চালিকাশক্তি হিসেবে ধরা হয়। ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সব পাবলিক এবং প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানকে পরিচালনার জন্য ডেটাকে ইনসাইট হিসেবে প্রস্তুত করা আবশ্যক হয়ে পড়বে। প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রতিদিনের কার্যক্রমে বিশাল পরিমাণ ডেটা তৈরি হয়, যা উৎপাদনশীলতায় প্রভাব, জনবলের কার্যকারিতা এবং কর্মীদের সম্পৃক্ততায় ব্যবহার করা যাবে। বিশ্বব্যাপী যেসব কোম্পানি এর গুরুত্ব বুঝতে পেরেছে, তারা অধিক লাভের জন্য সেটি বাস্তবায়ন করেছে। এখন সময় বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোরও ডেটার যথাযথ ব্যবহার করা এবং ইনসাইটের মাধ্যমে তাদের টিমের কাজের ধরনে নতুন রূপান্তর করা।