বেজোসকে আবার টপকে গেলেন বিল গেটস

বিল গেটস ও জেফ বেজোস। ছবি: রয়টার্স
বিল গেটস ও জেফ বেজোস। ছবি: রয়টার্স

আমাজনের প্রধান নির্বাহী জেফ বেজোসকে হটিয়ে বিশ্বের শীর্ষ ধনীর মুকুট আবার মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের মাথায়। ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার সূচক অনুযায়ী, বিল গেটসের বর্তমান সম্পদের পরিমাণ ১১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। গতকাল শুক্রবার সম্পদের হিসাবে তিনি বেজোসকে টপকে যান।

দুই বছরের মধ্যে এবারই প্রথম মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা শীর্ষ ধনীর আসনে বসলেন। এর আগে অবশ্য গত অক্টোবর মাসে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য তিনি বেজোসকে টপকে যান। ওই সময় আমাজন জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের প্রান্তিক আয় ঘোষণার সময় ২৮ শতাংশ কম মুনাফার ঘোষণা দিয়েছিল। এতে সম্পদের হিসাবে পিছিয়ে পড়েন বেজোস।

চলতি বছর মাইক্রোসফটের শেয়ারের দাম ৪৮ শতাংশ বেড়ে যাওয়ায় বিল গেটসের কপাল খুলেছে। এতে মাইক্রোসফটে থাকা তাঁর শেয়ারের দাম বেড়েছে। গত মাসেই আমাজনকে হারিয়ে পেন্টাগনের ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ক্লাউড কম্পিউটিং চুক্তি করেছে মাইক্রোসফট। এটিও গেটস ও বেজোসের মধ্যেকার সম্পদের মধ্যে বাড়তি নাটক যোগ করেছে।

সম্প্রতি স্ত্রী ম্যাকেঞ্জি বেজোসের সঙ্গে ছাড়াছাড়ির সময় আমাজনের বড় একটি অংশের শেয়ার দিতে হয়েছে বেজোসকে। বর্তমানে বেজোসের সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০৮ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

২৬ অক্টোবর আমাজনের শেয়ারের দাম ৭ শতাংশ কমে গেলে ক্ষণিকের জন্য শীর্ষ ধনীর আসন হারান বেজোস। শুক্রবার আবার সাময়িকভাবে শীর্ষ স্থান ফিরে পান তিনি। সামগ্রিকভাবে এ বছরটা আমাজনের জন্য ভালো যাচ্ছে না। বিবাহবিচ্ছেদের কারণে বেজোসের গাঁট থেকে প্রায় ১ হাজার ৪০০ কোটি ডলার বেরিয়ে গেছে। আমাজনে বেজোস দম্পতির যে শেয়ার ছিল, বিচ্ছেদের বন্দোবস্তের কারণে বেজোসের স্ত্রী ম্যাকেঞ্জি তাঁর ২৫ শতাংশ পেয়েছেন। এতে আমাজনে ম্যাকেঞ্জির শেয়ারের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ শতাংশ। তাঁর সম্পদের পরিমাণ এখন ৩৮ বিলিয়ন ডলার।

আমাজন পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা উন্নত করতে ৮০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে। বিশ্লেষকেরা অবশ্য এটাকে ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছেন।

অন্যদিকে ব্লুমবার্গের হিসাব অনুসারে এ বছর বিল গেটসের শেয়ারের দাম বেড়েছে ১৭ শতাংশ। মাইক্রোসফটে তাঁর শেয়ারের পরিমাণ ১ শতাংশ। ২০১৯ সালে তাঁর শেয়ারের দাম বেড়েছে ৪০ শতাংশ।