'ই-অ্যাওয়ারনেস অলিম্পিয়াড' উদ্বোধন
তরুণদের ইন্টারনেট ঝুঁকি ও সচেতনতা নিয়ে দেশে শুরু হয়েছে ই-অ্যাওয়ারনেস অলিম্পিয়াড ‘সাইবার চ্যাম্প’। সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সঙ্গে এই অলিম্পিয়াডের আয়োজন করবে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ডিনেট।
সাধারণত নবম শ্রেণি থেকে শুরু করে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে নানা ঝুঁকির মুখে থাকে। সাইবার বুলিং, ভুয়া তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ার মতো ঝুঁকিতে থাকা এই তরুণদের জন্য ইন্টারনেটের সঠিক কোনো গাইডলাইনও এখন পর্যন্ত নেই। তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সঙ্গে মিলে ডিনেট তরুণ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে আয়োজন করা হচ্ছে দেশের প্রথম ই-অ্যাওয়ারনেস অলিম্পিয়াড ‘সাইবার চ্যাম্প’।
গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ছায়ানট সংস্কৃতি ভবন অডিটোরিয়ামে অলিম্পিয়াডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়। রাজধানীর বাংলা, ইংরেজি ও মাদ্রাসা মাধ্যমের শতাধিক শিক্ষার্থী-শিক্ষক এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম।
অনুষ্ঠানে বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের সাধারণ সম্পাদক মুনীর হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান জিয়া রহমান, সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি, ইউএসএআইডি’র গর্ভনেন্স বিষয়ক উপদেষ্টা রুমানা আমিন।
ইউএসএআইডি’র অবিরোধ: সহনশীলতার পথে কর্মসূচির সহযোগিতায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য 'ই-সচেতনতা' গড়ে তোলার অংশ হিসেবে এই অলিম্পিয়াড আয়োজন করা হচ্ছে। এই অলিম্পিয়াডের সঙ্গে ডিনেট শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সচেতনতা গড়ে তোলার জন্য কিছু কাজও বাস্তবায়ন করবে। এগুলো হলো,
ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী জেলার ১০০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার বিষয়ক প্রশিক্ষণ।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার বিষয়ে অনলাইনে ই-শিখন প্ল্যাটফর্ম প্রস্তুত করা।
·শিক্ষার্থীদের সচেতন করার জন্য একটি ২০ সিরিজের ই-কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা।
উদ্বোধনী আয়োজনে বক্তারা শিক্ষার্থীদের সাইবার সচেতনতা বাড়াতে এই অলিম্পিয়াড ভূমিকা রাখবে আশা করেন। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা www.cyberchamp.com.bd এ গিয়ে কুইজ খেলতে পারবে। বিশ সিরিজের এই কুইজ প্রতিযোগিতায় প্রতি সপ্তাহেই থাকছে বিজয়ীদের জন্য পুরস্কার। কুইজের সেরা ২০০ বিজয়ী অংশগ্রহণ করবে ই-অ্যাওয়ারনেস অলিম্পিয়াডে মূল পর্বে। অলিম্পিয়াডের বিজয়ীরা নেটবুক, ট্যাব, সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন পুরস্কার পাবে। খবর বিজ্ঞপ্তির।