আইনি পথে হুয়াওয়ে

হুয়াওয়ের প্রধান আইনি কর্মকর্তা সং লিউপিং। ছবি: হুয়াওয়ের সৌজন্যে
হুয়াওয়ের প্রধান আইনি কর্মকর্তা সং লিউপিং। ছবি: হুয়াওয়ের সৌজন্যে

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কমিউনিকেশনস কমিশনের (এফসিসি) একটি আদেশ বাতিল করতে আদালতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে। গত ২২ নভেম্বর পাস হওয়া ওই আদেশের বৈধতা নিয়ে এফসিসির বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়ায় চ্যালেঞ্জ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। আদেশটিতে আমেরিকার গ্রামীণ অঞ্চলে ক্যারিয়ার নেটওয়ার্ক সরবরাহকারীদের প্রতি ‘ইউনিভার্সেল সার্ভিস ফান্ড’ (ইউএসএফ) থেকে হুয়াওয়ের সরঞ্জাম ক্রয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

হুয়াওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, হুয়াওয়ের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান, প্রশাসনিক কার্যবিধি আইন বা অন্যান্য আইন লঙ্ঘনের অকাট্য কোনো প্রমাণ হাজির করতে পারেনি এফসিসি।

এক সংবাদ সম্মেলনে হুয়াওয়ের প্রধান আইনি কর্মকর্তা সং লিউপিং বলেন, কেবল চীনা প্রতিষ্ঠান বলেই হুয়াওয়ের মতো একটি কোম্পানিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকির সমাধান পাওয়া যাবে না। হুয়াওয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি এমন দাবির পক্ষে এফসিসির চেয়ারম্যান অজিত পাই ও অন্য কমিশনাররা কোনো ধরনের প্রমাণপত্র হাজির করতে পারেননি। এফসিসির আদেশটি যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য এবং গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কতটা ক্ষতি করবে, সে বিষয়ে ২১ বার বিস্তারিত মন্তব্য জমা দিয়েছে হুয়াওয়ে। কিন্তু সব উপেক্ষা করে গেছে এফসিসি।

হুয়াওয়ের করপোরেট কমিউনিকেশনস বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট কার্ল সং বলেন, এফসিসির নিয়মটি আমেরিকার গ্রামীণ যোগাযোগের উন্নয়নের জন্য হুমকিস্বরূপ। কেননা হুয়াওয়ে ছাড়া অন্য কোনো ভেন্ডর আমেরিকার ওই এলাকায় কাজ করতে চায় না। রিপ অ্যান্ড রিপ্লেসনির্ভর এই প্রস্তাব শত শত মিলিয়ন ডলারের ব্যয় যেমন বাড়াবে, তেমনি ছোট ছোট কিছু ক্যারিয়ারকেও দেউলিয়া হতে বাধ্য করবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুয়াওয়ের বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়েই যাচ্ছেন। সম্প্রতি পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সম্মেলনে ভবিষ্যৎ ৫জি নেটওয়ার্ক সুরক্ষার কথা বলা হয়। এরপরই ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মনে করি, হুয়াওয়ে নিরাপত্তা ঝুঁকি ও নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক। আমি ইতালির সঙ্গে কথা বলেছি। তারা হুয়াওয়ের সঙ্গে কাজ করবে না। আমি অন্যান্য দেশের সঙ্গেও কথা বলেছি। তারা সামনে এগোবে না।’