প্রথমবারের মতো অ্যাডা লাভলেস উদ্যাপন করতে যাচ্ছে বিডিওএসএন

বিডিওএসএন কার্যালয়ে অ্যাডা লাভলেস উদ্‌যাপনের উদ্বোধন ঘোষণা করা হলো।
বিডিওএসএন কার্যালয়ে অ্যাডা লাভলেস উদ্‌যাপনের উদ্বোধন ঘোষণা করা হলো।

দেশের সব টেক-নারীকে এক প্ল্যাটফর্মে সংযুক্ত করার লক্ষ্যে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে অ্যাডা লাভলেস সেলিব্রেশন। বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের (বিডিওএসএন) আয়োজনে আগামী ২ ও ৩ জানুয়ারি এটি উদ্‌যাপিত হবে।

আজ মঙ্গলবার ঢাকায় বিডিওএসএনের কার্যালয়ে এই উদ্‌যাপনের উদ্বোধন করা হয়। কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ের প্রবর্তক অ্যাডা লাভলেসের জন্মদিন ১০ ডিসেম্বর। তাঁর জন্মদিনকে কেন্দ্র করে ঘোষণার জন্য আজকের দিনটি বাছাই করা হয়।

মূলত, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ক্যারিয়ার গড়তে আগ্রহী—এমন নারী শিক্ষার্থীদের সংযুক্ত করা হবে এই আয়োজনে, যেখানে তাঁদের উৎসাহ দিতে উপস্থিত থাকবেন টেকজগতে প্রতিষ্ঠিত নারী ব্যক্তিত্বরা।

আগামী ২ ও ৩ জানুয়ারি দুই দিনব্যাপী এই আয়োজনে থাকছে সেমিনার, ওয়ার্কশপ, পলিসি ডায়ালগের মতো বিষয়গুলো। এসবে নারী শিক্ষার্থীরা তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ক্যারিয়ার গঠনের নির্দেশনাসহ দক্ষতা উন্নয়নের হাতেকলমে প্রশিক্ষণ পাবেন। এ ছাড়া সদ্য স্নাতক সম্পন্ন করা নারীদের জন্য থাকবে ‘চাকরি মেলা। দেশের স্বনামধন্য চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোয় সিভি জমা দেওয়ার সুযোগ থাকবে এখানে। যাঁরা স্নাতক শেষে উচ্চতর শিক্ষার জন্য বিদেশে পড়তে যেতে ইচ্ছুক, তাঁদের জন্য একই প্ল্যাটফর্মে থাকবে তথ্যসংবলিত নির্দেশনা। থাকবে প্রোগ্রামিং কনটেস্ট, পোস্টার প্রতিযোগিতা। নতুন নারী উদ্যোক্তাদের মধ্যে ১০ জন নিজেদের ব্যবসায়িক উদ্যোগের পিচিং করার সুযোগ পাবেন।

আজকের আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন বিডব্লিউ আইটির সভাপতি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ডিপার্টমেন্টের অধ্যাপক লাফিফা জামাল, দৈনিক প্রথম আলোর যুব কর্মসূচির প্রধান ও বিডিওএসএনের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে আগত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের নারী শিক্ষার্থীরা। ভিডিওবার্তার মাধ্যমে এই আয়োজনে দেশের সব নারী শিক্ষার্থীকে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানান নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নোভা আহমেদ।

মুনির হাসান বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে পড়াশোনা করলেও বাংলাদেশে মাত্র ১৩ শতাংশ নারী এই খাতে কাজ করছেন। ধীরে ধীরে এই সংখ্যা এখন বাড়তে শুরু করেছে। আইওটি, রোবোটিকস, মেশিন লার্নিং ইত্যাদি বিষয়ে এখন নারীদের আগ্রহ বাড়ছে। এরই প্রতিফলন দেখা যাবে আসন্ন অ্যাডা লাভলেস উদ্‌যাপনে। এখানে অংশ নেবেন সারা দেশের প্রায় এক হাজার নারী শিক্ষার্থী।

লাফিফা জামাল বলেন, তথ্যপ্রযুক্তিতে নারী-পুরুষের সমান অংশগ্রহণ ছাড়া ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণ সম্ভব নয়। কোথায় নিজের দক্ষতা প্রমাণ করা যাবে, সে সম্পর্কে একটি সম্যক ধারণা নিতে তিনি সব নারী শিক্ষার্থীকে এই উদ্‌যাপনে অংশ নিতে আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আইসিটি লিডারশিপে কিংবা তথ্যপ্রযুক্তির উচ্চপদস্থ পর্যায়ে নারী কর্মীর সংখ্যা একেবারেই নগণ্য। এ উদ্‌যাপনে অংশগ্রহণের বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে, <http://alc.bdosn.org/> এই সাইটে।

বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের তিন বছর মেয়াদি ‘এনাবলিং সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস ফর বাংলাদেশ’ প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ আয়োজন। অ্যাডা লাভলেস উদ্‌যাপনে সঙ্গে আছে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ও প্রাইভেট ইকুইটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ভিসিপিইএবি) এবং বাংলাদেশ উইমেন ইন টেকনোলজি (বিডব্লিউআইটি)। বিজ্ঞপ্তি