জেট ল্যাগ কমানোর উপায় উদ্ভাবন

পরিধানযোগ্য প্রযুক্তিপণ্য জেট ল্যাগ কমাতে পারে। ছবি: রয়টার্স
পরিধানযোগ্য প্রযুক্তিপণ্য জেট ল্যাগ কমাতে পারে। ছবি: রয়টার্স

যাঁরা আকাশপথে ভ্রমণ করেন, তাঁদের জেট ল্যাগের সমস্যা নতুন কিছু নয়। স্মার্ট ওয়্যারেবল প্রযুক্তি বা ব্যক্তিগতভাবে পরিধানযোগ্য প্রযুক্তিপণ্য ব্যবহার করে জেট ল্যাগ দূর করার একটি পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন গবেষকেরা। যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেরা দাবি করেছেন, তাঁদের তৈরি যন্ত্র ব্যবহারে যাঁরা নিয়মিত বিভিন্ন টাইম জোনে ভ্রমণ করেন তাঁদের ঘুমের ব্যাঘাত হবে না। 

যুক্তরাষ্ট্রের রেনসিলার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের গবেষকেদের সমন্বয়ে গঠিত একটি গবেষক দল বলেছে, সার্কাডিয়ান রিদম নামে পরিচিত দেহঘড়ির অভ্যন্তরীণ পরিবর্তনের ফলে জেট ল্যাগের অভিজ্ঞতা হয়। এই দেহঘড়ি আমাদের ঘুম, মেটাবলিজম, হরমোন নিঃসরণ ও মস্তিষ্কের নানা কাজের মতো শারীরবৃত্তীয় নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

গত বুধবার ‘পিএলওএস-ওয়ান’ সাময়িকীতে গবেষণাসংক্রান্ত নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। গবেষকেরা বলেছেন, তাঁরা এক ধরনের অ্যালগরিদম তৈরি করেছেন, যা স্মার্ট যন্ত্রে ধারণ করা বায়োমেট্রিক তথ্য বিশ্লেষণ করতে পারে। এরপর তা সার্কাডিয়ান রিদম ঠিক করতে প্রয়োজনীয় ঘুমের জন্য আলো নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে পরামর্শ দিতে পারে।

রেনসিলার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের গবেষক ও গবেষণা প্রবন্ধের সহলেখক অ্যাগুংগ জুলিয়াস বলেন, সুস্থ থাকার জন্য সার্কাডিয়ান রিদম ঠিক করার উপযোগী আলো নির্ধারণে অ্যালগরিদম ও মানুষের সার্কাডিয়ান রিদমের গাণিতিক হিসাবের সমন্বয় সূক্ষ্মভাবে করা সম্ভব হয়েছে। তাঁদের তৈরি এ টুল কী ধরনের ঘুম প্রয়োজন হবে, তা ঠিক করতে পারবে।

গবেষকেরা বলেন, টাইম জোনের সঙ্গে যখন সার্কাডিয়ান রিদম ঠিকমতো মেলে না, তখন মানুষের শক্তি, সতর্ক থাকার প্রবণতা ও অন্যান্য জৈবিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়। এটি মানসিক অবস্থার ওপর প্রভাব ফেলে। সার্কাডিয়ান রিদমের পার্থক্য বের করতে এখন রক্ত বা থুতু পরীক্ষা করা হয়। তবে, এ পদ্ধতি সময়সাপেক্ষ। তবে নতুন গবেষণায় পরিধানযোগ্য প্রযুক্তিপণ্যের মাধ্যমে হৃৎস্পন্দন, শরীরের তাপমাত্রার মতো নানা তথ্য সংগ্রহ করা যায়। এসব তথ্য বিশ্লেষণ করে সার্কাডিয়ান রিদমের পার্থক্য বের করা যায়। তথ্যসূত্র: পিটিআই