চাপের মুখে হুয়াওয়ে

হুয়াওয়ে
হুয়াওয়ে

চীনের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরও চাপের মুখে পড়েছে। মার্কিন সিনেটর টম কটন সম্প্রতি হুয়াওয়ের ৫-জি নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ব্যবহারসংক্রান্ত একটি বিল পেশ করেছেন। ওই বিল অনুযায়ী, যেসব দেশ ৫-জি বাস্তবায়নে হুয়াওয়ের প্রযুক্তি ব্যবহার করবে, তাদের সঙ্গে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

টম কটনের ওই বিল বা প্রস্তাবটি যদি আইন আকারে পাস হয়, তবে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের মধ্যেকার সম্পর্কে ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে। এ ছাড়া হুয়াওয়ের প্রযুক্তি ব্যবহারকারী অন্য দেশের ওপর এর প্রভাব পড়তে পারে।

হুয়াওয়ের যন্ত্রপাতি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমিক বলে মনে করে যুক্তরাষ্ট্র। গোপনে হুয়াওয়ে চীন সরকারের কাছে তথ্য তুলে দিচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। অবশ্য এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে চীনা প্রতিষ্ঠানটি।
যুক্তরাজ্যে ৫-জি নেটওয়ার্ক উন্নয়নে হুয়াওয়ের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হবে কি না, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেভাগেই যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়েছে।

২০১৯ সালে নিরাপত্তার কথা বলে হুয়াওয়েকে কালো তালিকাভুক্ত করে যুক্তরাষ্ট্র। এ মাসের শেষ নাগাদ যুক্তরাজ্যে হুয়াওয়ের ভূমিকাসংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।

টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক আপগ্রেড করতে হুয়াওয়ের যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা হবে কি না, সে বিষয়ে কয়েক দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবে যুক্তরাজ্য। এর আগেই নতুন বিল প্রস্তাব করলেন মার্কিন সিনেটর কটন।

হুয়াওয়ে নিয়ে বরাবরই সমালোচনা করে আসছেন কটন। আগের মাসেই প্রতিরক্ষা বিলে কিছুটা পরিবর্তন আনার প্রস্তাব করেছেন এই সিনেটর। এই প্রস্তাবে বলা হয়, অন্যান্য দেশের সঙ্গে গোপন তথ্য ভাগাভাগির চুক্তি করার সময় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো যাতে টেলিযোগাযোগ এবং সাইবার নিরাপত্তা কাঠামোর বিষয়টি বিবেচনা করে। কাঠামোতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিপক্ষ দেশগুলোর অন্তর্ভুক্তি রয়েছে কি না, বিশেষভাবে চীন ও রাশিয়া।

এদিকে, ডিভাইস বাজারে ভালো করার কথা বললেও গুগলের সফটওয়্যার ব্যবহারে বাধা থাকায় ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে বিশ্বের দ্বিতীয় স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি। চীনের টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে সম্প্রতি ‘টিকে থাকাই অগ্রাধিকার পাবে’ বলে ঘোষণা দিয়েছে।

নতুন বছরে কর্মচারীদের উদ্দেশে এক বার্তায় জু বলেন, হুয়াওয়ের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ‘কৌশলী ও দীর্ঘমেয়াদি’ প্রচারণা হুয়াওয়েইর টিকে থাকা ও এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে এক ধরনের চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে।

হুয়াওয়ের ৫-জি প্রযুক্তি ঘিরে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ থাকলেও সম্প্রতি ভারতে ৫-জি প্রযুক্তি ট্রায়ালে অংশ নেওয়ার অনুমতি পেয়েছে। চীন ও আমেরিকার মধ্যে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক কোন্দল শুরু হওয়ার পর প্রথম হুয়াওয়ের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে ভারত সরকার।