গলে যাচ্ছে কাঁকড়ার খোসা

সাগরের অম্লতা বেড়ে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সামুদ্রিক বাস্তুসংস্থান।  ছবি: সিএনএন
সাগরের অম্লতা বেড়ে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সামুদ্রিক বাস্তুসংস্থান। ছবি: সিএনএন

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দিন দিন আরও অম্লীয় হয়ে উঠছে প্রশান্ত মহাসাগর। সরাসরি এর প্রভাব পড়ছে উপকূলীয় এলাকার পানিতে বসবাসকারী একধরনের কাঁকড়ার ওপর। পানির অম্লতার কারণে ডানজেনেস নামের ওই কাঁকড়ার খোসা গলে যাচ্ছে, তাদের ইন্দ্রিয় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে। এতে উপকূলীয় এলাকার অর্থনীতিতে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী সায়েন্স অব দ্য টোটাল এনভায়রনমেন্ট-এ সম্প্রতি গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় অর্থায়ন করেছে ন্যাশনাল ওশিয়ানিক অ্যান্ড অ্যাটমসফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনওএএ)।

প্রশান্ত মহাসাগর দিন দিন অম্লীয় হওয়ার কারণ হিসেবে গবেষণা নিবন্ধে বলা হয়েছে, পরিবেশ থেকে আরও বেশি কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ করার মাধ্যমে মহাসাগরটি অম্লীয় হয়ে উঠছে। এতে মহাসাগরের পানির পিএইচ মাত্রা কমে যাচ্ছে।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রশান্ত মহাসাগরের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় সামুদ্রিক খাদ্যপণ্য বাণিজ্যে ডানজেনেস কাঁকড়া গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু মহাসাগরের পানির পিএইচ মাত্রা কমে যাওয়ায় এই কাঁকড়ার খোসা ও ইন্দ্রিয়ে প্রভাব পড়ছে। গবেষকেরা বলেছেন, গবেষণার সময় তাঁরা দেখেছেন যে ডানজেনেস কাঁকড়ার লার্ভার কচি খোসাগুলো মহাসাগরের অম্লীয় পানিতে ক্ষয়ে যাচ্ছে। এতে সেগুলোর তেজি ও শিকারি ভাব ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে নিবন্ধে।

 এনওএএর জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী ও গবেষণাটির সহ-গবেষক রিচার্ড ফিলি বলেন, এই গবেষণায় তাঁরা বুঝতে পারছেন, প্রশান্ত মহাসাগরের পানি ধারণার চেয়েও দ্রুত অম্লীয় হয়ে উঠছে।

সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া কোস্টাল ওয়াটার রিসার্চ প্রজেক্টের জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী ও এই গবেষণার প্রধান গবেষক নিনা বেদনারসেক বলেন, ‘আমাদের এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে। কারণ, মহাসাগরের অম্লীয় হয়ে ওঠার এই ধারা অব্যাহত থাকলে খুব শিগগির তার প্রভাব পড়বে আমাদের খাদ্যশৃঙ্খলের ওপর।’