আইপ্যাডের ১০ বছর পার

স্টিভ জবসের হাত ধরে আসে আইপ্যাড। ছবি: রয়টার্স
স্টিভ জবসের হাত ধরে আসে আইপ্যাড। ছবি: রয়টার্স

স্মার্টফোন ও ল্যাপটপ কম্পিউটারের মাঝামাঝি নতুন এক যন্ত্র হিসেবে আবির্ভাব ঘটে আইপ্যাডের। দেখতে দেখতে এক দশক পার করে দিল এটি। অ্যাপলের সহযোগী প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত স্টিভ জবস ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি যখন প্রথম আইপ্যাডের ঘোষণা দেন, তখন শুধু নতুন এক পণ্য নয়, বরং নতুন ঘরানার পণ্যের বাজার তৈরি করেন।

আইপ্যাড বাজারে এলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা। কেউ আইপ্যাডে সম্ভাবনা দেখেছেন, কারও মনে ছিল সন্দেহ। অনেকে অপ্রয়োজনীয় যন্ত্র হিসেবে মনে করেছেন। অবশ্য বাজারে আসার মাস কয়েকের মধ্যে সবার সংশয় দূর হয়ে যায়। মাত্র ৮০ দিনে ৩০ লাখ আইপ্যাড বিক্রি করেছিল অ্যাপল।

আইপ্যাডের বিক্রি শীর্ষ পর্যায়ে পৌঁছেছিল ২০১৩ সালে। অবশ্য ২০১২ সালের পর থেকে অ্যাপলের মোট রাজস্বে সামান্যই ভূমিকা রাখতে পেরেছে এই যন্ত্র। এর মানে এই নয় যে এটা সফল হয়নি। ট্যাবলেট কম্পিউটারের বাজার সার্বিকভাবেই একটু ধীরগতির। আইপ্যাড তবু প্রতিদ্বন্দ্বীদের ছাড়িয়ে গেছে।

বাহ্যিক নকশায় আইপ্যাডে অবশ্য তেমন পরিবর্তন আসেনি। তবে অনেক নতুন সুবিধা যুক্ত হয়েছে। যেমন প্রথম আইপ্যাডের সামনে কোনো ক্যামেরা ছিল না। তবে সাম্প্রতিকতম আইপ্যাড প্রোতে চেহারা শনাক্ত করার প্রযুক্তির মাধ্যমে যন্ত্রটি খোলার (আনলক) সুবিধা যুক্ত হয়েছে। তা ছাড়া আকারও কিছুটা বদলেছে। অ্যাপল বাজারে নতুন আবেদন তৈরির জন্য ২০১২ সালে ৭ দশমিক ৯ ইঞ্চির আইপ্যাড মিনি, ২০১৩ সালে পাতলা আইপ্যাড এয়ার এবং ২০১৩ সালে ১২ দশমিক ৯ ইঞ্চি পর্দার আইপ্যাড প্রো এনেছিল।

ধারণা করা হচ্ছে, ব্যক্তিগত ‘কম্পিউটার’ হিসেবে আইপ্যাড আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে। গত বছরের জুনে অ্যাপলের সফটওয়্যার নির্মাতাদের সম্মেলন ডব্লিউডব্লিউডিসির মূল বক্তৃতায় আইপ্যাড-ওস নামের নতুন এক অপারেটিং সিস্টেমের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, যা বিশেষ করে আইপ্যাডের জন্যই নকশা করা হয়েছে। আইপ্যাড যে এখনই বিদায় নিচ্ছে না, ইঙ্গিত হিসেবে সেটাই যথেষ্ট। আরও স্পষ্ট করে বলতে গেলে, এটি ল্যাপটপের বাজারের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে। সূত্র: দ্য আইরিশ টাইমস