ফেসবুক নিয়ে পড়ে থাকলে চাকরির বারোটা

তরুণ-যুবা যাঁরা চাকরিপ্রত্যাশী, ফেসবুকে নিজের প্রোফাইল নিয়ে বেশি ঘাঁটাঘাঁটি করেছেন তো মরেছেন। চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে ১২টার কাঁটা ঢং ঢং করে বাজবে। কেন, তা জেনে নিন।

ফেসবুকে নিজের প্রোফাইলে কোনো বিতর্কিত বিষয়ে আত্মমগ্ন বা দৃঢ় মতামত ব্যক্ত করলে চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যেতে পারে। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেরা এক গবেষণায় এ তথ্য পেয়েছেন। পেনসিলভানিয়া স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের করা এ গবেষণায় দেখা গেছে, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে কোনো বিষয়ের ওপর পোস্ট দেওয়ার ক্ষেত্রে যাঁরা বেশি আত্মমগ্ন থাকেন এবং বেশি বেশি নিজের মত প্রদানে উৎসাহী থাকেন, নিয়োগদাতারা তাঁদের খুব একটা পছন্দ করেন না।

গবেষণাসংক্রান্ত নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে ‘ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব সিলেকশন অ্যান্ড অ্যাসেসমেন্ট’ সাময়িকীতে।

গবেষকেরা আরও বলেছেন, মাদক ও অ্যালকোহল ব্যবহারের উৎসাহ দিয়ে যাঁরা পোস্ট করেন, তাঁদেরও নিয়োগ দিতে চান না চাকরিদাতারা।

পেনসিলভানিয়া স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাইকেল টিউজ বলেন, কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে নেতিবাচক কনটেন্টের ক্ষেত্রে নিয়োগ ব্যবস্থাপকেরা কতটা গুরুত্ব দেন, সে সম্পর্কিত তথ্য কম পাওয়া যায়।

গবেষকেরা তিন ধরনের নেতিবাচক বিষয়বস্তু নিয়ে গবেষণা চালান। এগুলো হচ্ছে—সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আত্মমগ্ন থাকা, বেশি বেশি মতামত দেওয়া ও মাদকবিষয়ক পোস্ট করা।

গবেষণার ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৪৩৬ জন নিয়োগ ব্যবস্থাপকের মতামত নেন গবেষকেরা। তাঁদের ফেসবুক প্রোফাইলের উপাদান পর্যালোচনা করে সম্ভাব্য কর্মীরা নিয়োগের উপযুক্ত কি না, তা বিবেচনা করতে বলা হয়।

গবেষকেরা বলেন, নেতিবাচক ধারণাগুলোর মধ্যে মতামত বা মাদক ব্যবহারের চেয়ে আত্মমগ্ন থাকার বিষয়টিকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়।

অধ্যাপক টিউজ বলেছেন, সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইটগুলো একটি পাবলিক ফোরাম হিসেবে চরম এবং বিতর্কিত ধারণা প্রকাশ করা অসংখ্য ব্যক্তি সৃষ্টি করেছে।

বিভাজনমূলক বিষয় পোস্টকারী ব্যক্তিদের বেশি তর্কপ্রবণ এবং কম সহযোগী হিসেবে দেখা হয়। এ ছাড়া তাঁদের মতামত নিয়োগকারী পরিচালকদের বিপক্ষে যেতে পারে বলে তা পরিচালকদের বিশ্বাসকে প্রভাবিত করে।

চাকরিপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে গবেষকেরা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আত্মমগ্ন থাকা, বেশি বেশি মতামত দেওয়া বা মাদক গ্রহণসংক্রান্ত কোনো পোস্ট দেওয়ার বিষয়ে দূরে থাকার আহ্বান জানান। তথ্যসূত্র: দ্য ইকোনমিক টাইমস