ভার্চ্যুয়াল বন্ধুদের দেখাদেখি

ফেসবুক বন্ধুদের খাবারের অভ্যাস অনুসরণ করেন কেউ কেউ। ছবি: রয়টার্স
ফেসবুক বন্ধুদের খাবারের অভ্যাস অনুসরণ করেন কেউ কেউ। ছবি: রয়টার্স

বন্ধুদের দেখে অনেকেই অনেক কিছু নকল করেন। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে থাকা ভার্চ্যুয়াল বন্ধুদের দেখে নকল করার হারও বেড়ে গেছে। অনেকে এখন বন্ধুদের খাবারগুলো দেখে তা খেতে চেষ্টা করেন। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের গবেষকেদের করা এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, বন্ধুদের খাওয়া ফল, সবজি থেকে শুরু করে নাশতা বা জাঙ্ক ফুডের বেলাতেও অনুসরণের চেষ্টা করেন অনেকেই। গবেষকেরা বলছেন, তাঁদের গবেষণা বন্ধুদের স্বাস্থ্যকর খাবারে টেনে আনার ক্ষেত্রে নতুন পথ দেখাতে পারে। পিটিআইয়ের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

যুক্তরাজ্যের অ্যাস্টন বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খাদ্যাভ্যাস–সম্পর্কিত গবেষণাকাজে যুক্ত ছিলেন। তাঁরা যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ৩৬৯ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে একটি সমীক্ষা চালান। তাঁদের কাছ থেকে বন্ধুদের দেখাদেখি ফল, সবজি, বেশি ক্যালরির নাশতা, চিনিযুক্ত পানীয় খাবার খাওয়া–সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এরপর তাঁদের প্রকৃত খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে তথ্য মিলিয়ে দেখা হয়।

গবেষণাসংক্রান্ত নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে ‘অ্যাপেটাইট’ শীর্ষক সাময়িকীতে। গবেষণায় দেখা গেছে, ফেসবুক বন্ধুদের দেখাদেখি এক–পঞ্চমাংশ পর্যন্ত ফল ও সবজি খেয়েছেন গবেষণায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা।

গবেষকেরা বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বন্ধুচক্রের মধ্যে খাদ্যাভ্যাসের বিষয়টি পরোক্ষভাবে ভূমিকা রাখে, যা স্বাস্থ্যকর খাদ্য খাওয়ার উত্সাহ দেওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।

গবেষণা প্রবন্ধের সহলেখক জেসন থমাস বলেন, ‘আমরা যদি বিশ্বাস করি, বন্ধুরা প্রচুর ফল ও সবজি খাচ্ছে, তখন আমরাও তা খাওয়া শুরু করি। অন্যদিকে, আমরা যদি মনে করি, ফেসবুকের বন্ধুরা প্রচুর নাশতা ও চিনিযুক্ত পানি খেয়ে খুশিতে আছে, তখন আমরাও সেদিকে ঘুরে যাই। তখন আমরা অতিরিক্ত অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে বসি। এ গবেষণা তরুণ বয়স থেকেই স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গঠনে সাহায্য করবে।’