ফেসবুকের শ্বেতপত্র প্রত্যাখ্যান করল ইউরোপীয় ইউনিয়ন

মার্ক জাকারবার্গ
মার্ক জাকারবার্গ

অনলাইন কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গের শ্বেতপত্র তীব্রভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তারা বলছে, ক্ষতিকর, ভুয়া ও অবৈধ কনটেন্টের দায়দায়িত্ব ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগের প্ল্যাটফর্মকেই নিতে হবে।

গত সোমবার জাকারবার্গের পক্ষ থেকে ‘চার্টিং আ ওয়ে ফরওয়ার্ড: অনলাইন কনটেন্ট রেগুলেশন দ্যাট বিল্ডস অন রিসেন্ট ডেভেলপমেন্টস, ইনক্লুডিং লেজিগলেটিভ ইফোর্টস অ্যান্ড স্কলারশিপ’ শীর্ষক একটি শ্বেতপত্র সামনে আনা হয়।

ব্রাসেলসে ফেসবুকের প্রধান নির্বাহীর সঙ্গে এক বৈঠকের পর ইউরোপিয়ান ইন্ডাস্ট্রি কমিশনার থিয়েরি ব্রেটন বলেন, প্রস্তাবিত ইন্টারনেট বিধিগুলো অপর্যাপ্ত। ফেসবুককেই ইউরোপের মান অনুসরণ করতে হবে এর আর কোনো ঘুরপথ নেই। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি এক প্রতিবেদনে বিষয়টি তুলে ধরেছে।

ব্রেটন বলেছেন, ‘এই কোম্পানির সঙ্গে আমরা খাপ খাইয়ে নেব না, এই কোম্পানিকেই আমাদের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হবে। অবৈধ কনটেন্ট সরানোর ক্ষেত্রে ফেসবুক তাদের ধারণা নিয়ে ধীরগতির নীতিতে চলেছে।’

গত বছর জাকারবার্গের পক্ষ থেকে বিভিন্ন দেশের সরকারকে অনলাইন কনটেন্টের জন্য নতুন নীতিমালা তৈরির আহ্বান জানানো হয়।

ফেসবুকের কনটেন্ট পলিসি বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট মনিকা বেরেটের মতে, অনলাইনে বিষয়বস্তু নিয়ন্ত্রণের বিতর্ককে কেন্দ্র করে ফেসবুক প্রকাশিত শ্বেতপত্রটিতে কিছু মূল প্রশ্ন উঠে এসেছে।

ফেসবুকের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, নিয়ন্ত্রণকারীদের উচিত কনটেন্ট মডারেশনের ক্ষেত্রে প্রযুক্তি সক্ষমতা ও সীমাবদ্ধতাগুলো বোঝা এবং ইন্টারনেট সংস্থাগুলোকে উদ্ভাবনের সুযোগ করে দেওয়া উচিত।

তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান বিচারপতি ভেরা জুরোভা জাকারবার্গের শ্বেতপত্রকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ফেসবুক সব দায়িত্ব ঠেলে দিতে পারে না। ফেসবুক ও জাকারবার্গকে অবশ্যই উত্তর দিতে হবে যে তারা কোম্পানি হিসেবে কী করতে চায় এবং কী ধরনের মূল্যবোধ তারা প্রচার করতে চায়।