মাস্ক নিয়ে ফেসবুকে প্রতারণা

করোনাভাইরাসের আতঙ্কে মাস্কের বিক্রি বেড়েছে। ছবি: রয়টার্স
করোনাভাইরাসের আতঙ্কে মাস্কের বিক্রি বেড়েছে। ছবি: রয়টার্স

করোনাভাইরাসের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে বিভিন্ন দেশে মাস্ক বা মুখোশের বিক্রি বেড়েছে। এ সুযোগে আতঙ্ক আরও বাড়িয়ে অনলাইনে প্রতারণা করছে সাইবার দুর্বৃত্তরা। এ ক্ষেত্রে তারা মাস্ক বিক্রির নামে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। করছে অভিনব প্রতারণা। হংকংয়ের ১০০ জনের বেশি নাগরিক এ ধরনের মাস্ক স্ক্যামের শিকার হয়েছেন।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফেসবুকের মাধ্যমে মাস্ক বিক্রির কথা বলে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। করোনাভাইরাস মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে এ রকম কয়েক শ অভিযোগ পেয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এ ধরনের প্রতারণা করতে সাইবার দুর্বৃত্তরা ১০০ সার্জিক্যাল মাস্ক ৫১ মার্কিন ডলারে কেনার প্রস্তাব দেয়। ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য বিজ্ঞাপনসহ নানা উপায়ে তারা মাস্কের বিষয়টি সামনে আনে। এরপর ক্রেতার কাছ থেকে আগাম অর্থ নিয়ে নেয়। কিন্তু তারা মাস্ক পাঠায় না। হংকংয়ের কাউন্সিল সদস্য উইয়েন হই-মেনের বরাতে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট এ তথ্য জানিয়েছে।

চার ভুক্তভোগী গত শুক্রবার পুলিশের কাছে অভিযোগ করে বলেছেন, তাঁদের সঙ্গে অনলাইনে প্রতারণা করে ৭ হাজার ৭০০ মার্কিন ডলার হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন ফেসবুক পেজের মাধ্যমে এ প্রতারণা করা হয়েছে। এ ধরনের পেজের অ্যাডমিনরা ফেস মাস্ক কেনার জন্য নানাভাবে ক্রেতাদের প্রলুব্ধ করেন। অনেক ক্ষেত্রে কয়েকটি ভিন্ন পেজে একই যোগাযোগের নম্বর দেওয়া থাকে। এমনকি পোস্টের ধরনও একই রকম থাকে। এসব পোস্টের নিচে সাজানো ইতিবাচক পর্যালোচনাও দেখা যায়।

এ মাসের শুরুতে হংকংয়ের করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে মাস্কের চাহিদা বেড়ে যায়। দেশটির অনেক নাগরিক মাস্ক সংগ্রহের জন্য অনলাইনে বিভিন্ন দেশ থেকে ফরমাশ দেওয়ার চেষ্টা করেন।

মাস্ক স্ক্যাম নিয়ে ফেসবুককে অবহিত করা হলেও ফেসবুকের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন ইউয়েন।

তবে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট বলছে, মাস্ক স্ক্যামে যুক্ত থাকা কয়েকটি অ্যাকাউন্ট ও পেজ সরিয়ে ফেলেছে ফেসবুক। এ স্ক্যাম ছড়ানোর বিষয় নিয়ে এখন তদন্ত শুরু করেছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমটির কর্তৃপক্ষ।