কম্পিউটার সিটিতে চলছে সিটি আইটি মেলা

মেলায় কম্পিউটার দেখছেন দর্শনার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত
মেলায় কম্পিউটার দেখছেন দর্শনার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত

বেশ দৃষ্টিনন্দনভাবে সাজানো হয়েছে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বিসিএস কম্পিউটার সিটি। গত বছরের নভেম্বরের দুই দশক পূর্তি হয়েছে এই কম্পিউটার বাজারের। এখন বিসিএস কম্পিউটার সিটিতে চলছে তাদের বার্ষিক মেলা ‘সিটি আইটি ২০২০’। ছয় দিনের মেলার প্রথম তিন দিনব্যাপী দর্শক আর ক্রেতাদের আগ্রহ নতুন ল্যাপটপ আর নতুন সব প্রযুক্তিপণ্যে।

কম্পিউটার সিটির মেলা উপলক্ষে ক্রেতাদের টানতে আয়োজনের কোনো কমতি দেখা গেল না। গতকাল বুধবার মেলা ঘুরে দেখা গেল বিক্রেতারা নতুন পণ্য, মূল্যছাড় আর উপহার উপস্থাপন করছেন ক্রেতাদের সামনে। আয়োজকেরা বললেন, সোমবার উদ্বোধনী দিন আর মঙ্গলবার দুই দিনই মেলায় ছিল দর্শকদের ভিড়।

মেলা ঘুরে দেখা যায়, বেশির ভাগ তরুণের আগ্রহ ল্যাপটপের দিকে। মিরপুর থেকে আসা কবির হোসেন বলেন, ‘এই মেলা ঘিরে বরাবরই আকর্ষণ থাকে। মেলা উপলক্ষেই এখানে আসা। ল্যাপটপের সঙ্গে উপহারও পাওয়া যায়। বন্ধুদের নিয়ে মেলা ঘুরে দেখি। এরপর একটা ভালো ল্যাপটপ কেনার ইচ্ছা আছে।’

কয়েকজন বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, মেলায় সাশ্রয়ী দামে বেশি ক্ষমতার ল্যাপটপ কম্পিউটারের চাহিদা বেশি। অনেক ক্রেতা ৪০ থেকে ৫০ হাজারের মধ্যে ল্যাপটপ খোঁজ করছেন। মেলায় ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকার বেশি দামের গেমিং পিসির (পার্সোনাল কম্পিউটার) চাহিদা রয়েছে।

‘প্রযুক্তিই অগ্রগতি’ স্লোগানে ২ মার্চ শুরু হওয়া এই মেলা চলবে ৭ মার্চ পর্যন্ত। মেলার স্পনসর কমিটির আহ্বায়ক মনসুর আহমদ চৌধুরী বলেন, প্রতিদিন অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের জন্য রয়েছে উপহার, লটারির মাধ্যমে দর্শনার্থীরা পেতে পারেন স্মার্ট টিভি, গেমিং কি-বোর্ড, গেমিং মাউস, পাওয়ার ব্যাংক ইত্যাদি। সেলফি প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দেওয়া হবে প্রতিদিন একটি করে ল্যাপটপ।

রায়ানসের ব্যবস্থাপক এস এম আরিফুজ্জামান বলেন, মেলায় নানা ছাড় ও উপহার নিয়ে হাজির হয়েছেন তাঁরা। ক্রেতাদের জন্য আছে পাঁচ হাজার প্রযুক্তিপণ্য। কম্পিউটার বাজারটির দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় রায়ানসের দোকানগুলোতে ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের প্রযুক্তিপণ্য দেখানো হচ্ছে।

বিবিএস কম্পিউটার সিটির আরবিট্রেশন কমিটির চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান খান বলেন, ‘মেলায় সব বয়সী মানুষের মধ্যে আগ্রহ দেখছি। এই বাজারের ১৬০টি দোকানে জমজমাট ও সফল মেলা হচ্ছে। মেলায় গ্রাহকসেবার জন্য আলাদা বুথ। স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থাও আছে।’

সাধারণ দর্শনার্থী ও ক্রেতাদের জন্য থাকছে গেমিং, রোবটিকস, ডিজিটাল ফটো, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও নাইনডি মুভি দেখার আয়োজন। মেলায় পৃষ্ঠপোষক হিসেবে রয়েছে আসুস, অ্যাভিটা, ডেল, এইচপি, লেনোভো এবং সহযোগী হিসেবে রয়েছে ইন্টেল, ডি-লিঙ্ক, এক্সপোমেলা, ক্যাসপারেস্কি, আরওজি, এমএসআই, জেডকেটেকো।

মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত এ মেলা খোলা থাকছে।