বাড়িতে কাজ করে বেতন পাবেন ফেসবুক মডারেটররা

ফেসবুক। ছবি: রয়টার্স
ফেসবুক। ছবি: রয়টার্স

করোনাভাইরাসের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের থার্ড পার্টি কনটেন্ট মডারেটররা বাড়িতে বসে কাজের জন্যও অর্থ পাবেন। ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ বলেছেন, চুক্তিভিত্তিক কর্মী হলেও বাড়িতে বসে কাজের জন্য পুরো বেতন পাবেন কর্মীরা।

করোনাভাইরাস–সংক্রান্ত কনটেন্ট মোকাবিলায় মডারেটরদের পাশাপাশি আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার বাড়াবে ফেসবুক। বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

জাকারবার্গ বলেছেন, জনস্বাস্থ্যের প্রতিক্রিয়া পর্যাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত ঘর থেকে কাজের গৃহীত নীতি বজায় থাকবে।

অবশ্য কর্মীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা একটি গ্রুপ বলছে, ফেসবুকের গৃহীত পদক্ষেপ যথেষ্ট নয়। ওয়ার্কার এজেন্সির ভাষ্য, ‘বাড়ি থেকে কাজের সুযোগ দিচ্ছে, এটা ভালো। তবে এটা কর্মীদের জন্য যৎসামান্য কাজ।’

ফেসবুকের সরাসরি কর্মীদের মতো চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা বোনাসের অর্থ পাচ্ছেন না।

বর্তমানে ফেসবুকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ১৫ হাজার কনটেন্ট মডারেটর আছেন, যাঁরা চুক্তিভিত্তিক কর্মী হিসেবে তৃতীয় কোনো প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ করেন।

ব্যবহারকারীরা যেসব পোস্টে ফ্ল্যাগ দেখান বা সফটওয়্যারে যেসব পোস্ট ক্ষতিকর বলে চিহ্নিত হয়, তা পর্যালোচনা করে দেখাই চুক্তিভিত্তিক এসব কর্মীর কাজ।

জাকারবার্গ বলেন, কেউ বাড়ি থেকে কাজ করলে কিছু তথ্য শেয়ার হতে পারে বলে প্রাইভেসির উদ্বেগ তৈরি হয়।

জাকারবার্গ বলেন, ‘আইসোলেশনে যাওয়া ব্যক্তিদের জন্য আমি কিছুটা উদ্বেগে রয়েছে। এতে তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব পড়বে। আমাদের কমিউনিটিকে সমর্থনের ব্যাপারে আমি এগিয়ে থাকতে চাই।’

ফেসবুকের নীতিমালা ভঙ্গ করে—এমন কনটেন্ট শনাক্ত ও সরিয়ে ফেলার জন্য কয়েক বছর ধরেই এলগরিদম তৈরির কথা বলছে ফেসবুক। এআইয়ের ব্যবহার বাড়লে কর্মীরা চাকরি হারাতে পারেন বলেও সংশয় রয়েছে।

গত মঙ্গলবার ফেসবুকের পক্ষ থেকে করোনায় আক্রান্ত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সহায়তা করতে ১০ কোটি মার্কিন ডলারের তহবিল গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি ফেসবুক তাদের স্থায়ী কর্মীদের এক হাজার ডলার করে সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে।