দেশি উদ্যোক্তাদের মাস্কযুক্ত চেহারা শনাক্ত করতে প্রযুক্তি

ফেস শনাক্তকরণ প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে সিগমাইন্ড। ছবি: সংগৃহীত
ফেস শনাক্তকরণ প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে সিগমাইন্ড। ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাস মহামারির এ সময়ে কোয়ারেন্টিন বা আইসোলেশনে থাকা ব্যক্তি মাস্ক পরে চলাফেরা করলে সাধারণ ক্যামেরায় তাদের শনাক্ত করা কঠিন। এ সমস্যা সমাধানে দেশি স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান সিগমাইন্ড তাদের ওয়াচক্যাম মাস সার্ভিল্যান্স সিস্টেমে মাস্কসহ ফেস শনাক্ত করার প্রযুক্তি যুক্ত করেছে। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, তাদের প্রযুক্তি সিসিটিভি ক্যামেরা থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফেস শনাক্ত করে সতর্ক করা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে চেহারা বের করা, ডেটাবেইস থেকে পরিচয় খুঁজে বের করা, ভিডিও ফুটেজ থেকে কন্ট্রাক্ট শনাক্ত করার মতো কাজগুলো করতে পারে।

সিগমাইন্ডের উদ্যোক্তারা বলছেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে মাস্ক পরা ও তাতে শনাক্ত করার জন্য অটোমেশন পদ্ধতি কাজে লাগতে পারে। ওয়াচক্যাম মাস সার্ভিলেন্স সিস্টেম ও সুবিধা দিতে পারে। ইতিমধ্যে তাদের এ সেবা দেশের কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত হচ্ছে।

সিগমাইন্ডের উদ্যোক্তা আবু আনাস বলেন, ‘মাস্ক বা মুখোশ পরা ব্যক্তি শনাক্তকরণের প্রযুক্তি নিয়ে গত বছর থেকে কাজ শুরু করে সিগমাইন্ড। বর্তমানে এ প্রযুক্তির চাহিদা বেড়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ করে ৮৭ শতাংশ ক্ষেত্রে নিখুঁতভাবে মাস্ক পরিহিত ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে পারে ওয়াচক্যাম মাস সার্ভিল্যান্স সিস্টেম। তাদের তৈরি সফটওয়্যারটি ব্যক্তির বয়স, লিঙ্গ, পরিধেয় পোশাকের রং প্রভৃতি তথ্য ব্যবহার করে। এর বাইরে ভিডিও ফুটেজ ব্যবহার করে গাড়ির নম্বর প্লেট শনাক্ত করতে পারে।’

সিগমাইন্ডের আরেক উদ্যোক্তা তানভির তাবাসসুম বলেন, ‘বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থা দেশি উদ্যোক্তাদের তৈরি এ প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞরা করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিভিন্ন রকম প্রয়োগে জোর দিচ্ছেন। বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রযুক্তিগত সমাধান নিয়ে এগিয়ে এসেছে সিগমাইন্ড। তাদের ও উদ্যোগ ইতিমধ্যে অ্যাপিকটা মেরিট পুরস্কার, বেসিস জাতীয় তথ্যপ্রযুক্তি পুরস্কার পেয়েছে।’