মোবাইলে কথা বলা কমেছে ২০ শতাংশ

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের (অ্যামটব) জানিয়েছে, সাধারণ ছুটির মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহার বাড়লেও কথা বলা কমে গেছে। তাদের দাবি, বর্তমান পরিস্থিতিতে গ্রাহকদের কথা বিবেচনা করে অপারেটররা ডেটা প্যাকের মূল্য ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়েছে। এতে প্রায় ১৫ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত ডেটা ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু কিছুদিন ধরে ভয়েস কল বা কথা বলা ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে, যাকে উদ্বেগজনক বলছে সংগঠনটি।

আজ অ্যামটবের মহাসচিব এস এম ফরহাদ টেলিযোগাযোগ খাতে করোনাভাইরাসের প্রভাব নিয়ে এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, অর্থনীতির অন্যান্য সমস্ত খাতের মতোই টেলিকম খাতও চলমান করোনাভাইরাস মহামারির কারণে কঠিন সময় অতিক্রম করছে। মোবাইল সেবাদাতারা গ্রাহকদের সেবা ব্যবহারের ধরন পর্যবেক্ষণ করে আশঙ্কা করছে যে, এই প্রবণতা তাদের সামগ্রিক আয়ের ওপর প্রভাব ফেলবে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মানুষদের চলাচলের সীমাবদ্ধতার কারণে খুচরা পর্যায়ে মোবাইলে টাকা রিচার্জের হার প্রায় ২০ শতাংশ কমেছে। এই সংকটকালে টেলিযোগাযোগকে জরুরি সেবা হিসেবে ঘোষণা করা হলেও দেখা যাচ্ছে যে সরকারি নির্দেশনার বিষয়ে অনেকের ধারণা পরিষ্কার নয়। এতে খুচরা মোবাইল রিচার্জের সেবায় বাধা আসছে। মোবাইলের স্থানীয় দোকান এবং অন্যান্য রিচার্জ আউটলেটগুলো যাতে খোলা রাখা যায়, সে জন্য আইন প্রয়োগকারীদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছে অ্যামটব।