করোনা যুদ্ধে এক-চতুর্থাংশ দান টুইটার সহযোগী প্রতিষ্ঠাতার

টুইটারের সহপ্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডরসি
টুইটারের সহপ্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডরসি

করোনাভাইরাস মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করতে করোনাভাইরাস গবেষণা তহবিলের জন্য ১০০ কোটি মার্কিন ডলার দান করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন টুইটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যাক ডরসি। তাঁর এ দানের পরিমাণ মোট সম্পদের প্রায় এক–চতুর্থাংশ। দ্য গার্ডিয়ান–এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান টুইটার ও স্কয়ারের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী জ্যাক ডরসি। ২০০৬ সালে টুইটার প্রতিষ্ঠা করেন জ্যাক ডরসি, বিজ স্টোন, ইভান উইলিয়ামস ও নোয়া গ্লাস। গতকাল মঙ্গলবার এক টুইট করে ডরিস জানান, তাঁর ১০০ কোটি মার্কিন ডলারের স্কয়ার শেয়ার ‘স্টার্ট স্মল’ নামের একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানকে দিচ্ছেন। এটি মূলত বিশ্বব্যাপী কোভিড-২০ ত্রাণ তহবিল নিয়ে কাজ করবে।

জ্যাক ডরসি বলেন, তাঁর মোট সম্পদের মোট ২৮ শতাংশ তিনি দান করে দিচ্ছেন। ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্স অনুযায়ী, জ্যাক ডরসির মোট সম্পদের পরিমাণ ৩ দশমিক ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাস মহামারির লড়াইয়ে এটাই ব্যক্তিগত পর্যায়ে সর্বোচ্চ দানের ঘটনা।

মার্কিন ই-কমার্স জায়ান্ট আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা ও যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ধনী জেফ বেজোস বলেছেন, ফিডিং আমেরিকা নামের দাতব্য প্রতিষ্ঠানের ফুড ব্যাংকে ১০ কোটি মার্কিন ডলার সাহায্য করছেন তিনি।

গত সপ্তাহে ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে জেফ বেজোস বলেছেন, ‘এমনকি সাধারণ সময়ে আমেরিকান পরিবারগুলোতে খাদ্যের নিরাপত্তাহীনতা একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। দুর্ভাগ্যক্রমে কোভিড-১৯ উল্লেখযোগ্যভাবে সেই সমস্যা আরও বাড়িয়েছে।’

বেজাসের মোট সম্পদ ১২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তিনি যে দান করেছেন, তা তাঁর মোট সম্পদের দশমিক ১ শতাংশ।

বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন উৎপাদনের প্রচেষ্টা হিসেবে পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য ১০ কোটি মার্কিন ডলার অনুদানের ঘোষণা দিয়েছে। ডেল কম্পিউটারে প্রতিষ্ঠাতা মাইকেল ডেলও ১০ কোটি মার্কিন ডলার দানের ঘোষণা দিয়েছে।

গত মঙ্গলবার দ্য ওয়েলকাম ট্রাস্টের পক্ষ থেকে মহামারি মোকাবিলায় বড় বড় ব্যবসায়ীদের করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ কিট, থেরাপি ও ভ্যাকসিন উৎপাদনে ৮০০ কোটি মার্কিন ডলার দানের আহ্বান জানানো হয়।

লন্ডনভিত্তিক চিকিৎসা গবেষণা খাতের দাতব্য প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক জেরেমি ফারার বলেন, মহামারি থেকে রক্ষা পেতে ও লাখো জীবন বাঁচাতে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় বিশাল বিনিয়োগ একমাত্র এ থেকে বের হওয়ার উপায়।