করোনার শত শত রূপ

করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স
করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স

কোভিড-১৯ রোগ সৃষ্টিকারী করোনাভাইরাসের শত শত রূপান্তরিত ধরন খুঁজে পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের গবেষকেরা। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

রূপান্তরের বিষয়টি কীভাবে মানুষের মধ্যে ভাইরাস বিস্তারে ভূমিকা রাখছে বা এর ভ্যাকসিন তৈরিতে এটি কীভাবে কাজ করবে, তা অবশ্য জানানো হয়নি।

প্রশ্ন উঠেছে, ভাইরাসের এই রূপান্তরগুলোর মধ্যে কোনটি রোগের তীব্রতা বা সংক্রমণ পরিবর্তনে আসল ভূমিকা রাখছে?

মার্কিন গবেষকদের প্রাথমিক গবেষণায় জানা যায়, ডি৬১৪জি নামের একটি বিশেষ রূপান্তর সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করে এবং তা রোগটিকে আরও সংক্রামক করে তুলতে পারে।

অবশ্য তাঁদের গবেষণা এখনো কোনো সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়নি বা কোনো গবেষক পর্যালোচনা করেননি।

গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডেটা (জিআইএসএআইডি) নামের একটি ডেটাবেইস ব্যবহার করে নিউ মেক্সিকোতে লস আলামোস ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির গবেষকেরা ভাইরাসটির স্পাইকের পরিবর্তনগুলো বিশ্লেষণ করেন। তাঁরা উল্লেখ করেছেন, এই বিশেষ রূপান্তরে এমন কিছু আছে, যা এটিকে আরও দ্রুত বাড়িয়ে তোলে। তবে এর পরিণতি এখনো পরিষ্কার নয়।

গবেষকেরা যুক্তরাজ্যের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখেছেন, বিশেষ ওই রূপান্তরের নমুনা ব্যাপক পাওয়া গেলেও এর কারণে রোগী বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ার বা বেশি দিন হাসপাতালে থাকার কোনো প্রমাণ তাঁরা পাননি।

যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের একদল গবেষক ১৯৮ ধরনের রূপান্তর বের করেছেন।

গ্লাসগো ইউনিভার্সিটির আরেক গবেষণায় দেখা গেছে, পরিবর্তনগুলো ভাইরাসের বিভিন্ন স্ট্রেনের মতো নয়।

গবেষকেরা উপসংহারে পৌঁছেছেন যে বর্তমানে কেবল একধরনের ভাইরাস সংক্রমণ করছে।

ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষেত্রে ভাইরাসের গঠনে ছোট পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ করা জরুরি। সাধারণ ফ্লু ভাইরাসে রূপান্তরিত হয় বলে প্রতিবছর প্রচলিত নির্দিষ্ট স্ট্রেনের সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য ভ্যাকসিন প্রতিবছরই সামঞ্জস্য করতে হয়।