আজীবন বাসায় বসে কাজের সুবিধা দিল টুইটার

টুইটার। ছবি: রয়টার্স
টুইটার। ছবি: রয়টার্স

করোনাভাইরাসের প্রকোপ কিছুটা কমে আসায় অনেক জায়গায় অফিস খুলতে শুরু করেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান টুইটার হাঁটছে ভিন্ন পথে। করোনা পরবর্তী ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে খুদে বার্তার ওয়েবপ্ল্যাটফর্মটি। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে কর্মীদের জানানো হয়েছে, তারা চাইলে আজীবন বাসা থেকেই কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন।


বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, টুইটার কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা লকডাউন পরিস্থিতিতে বাড়ি বসে কাজের (ওয়ার্ক ফ্রম হোম) যে পদক্ষেপ নিয়েছিল, তা ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে। তাই তারা কর্মীদের ইচ্ছানুযায়ী আজীবন বাড়ি বসে কাজের সুযোগ বহাল রাখবে। কেউ যদি অফিস খোলার পর ফিরতে চান, সে ব্যবস্থাও থাকবে।


এ মাসের শুরুতে গুগল ও ফেসবুকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাঁদের কর্মীরা চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত বাড়িতে বসে কাজ করতে পারবেন।


টুইটার কর্তৃপক্ষ বলেছে, গত কয়েক মাসে প্রমাণ হয়েছে, আমরা বাড়িতে বসেও কাজ করতে পারি। আমাদের কর্মীরা যদি এ রকম দায়িত্ব ও পরিস্থিতিতে থেকে বাড়ি বসে কাজ চালাতে পারে এবং তারা তা আজীবন চালাতে চান, সে সুযোগ থাকবে।


ডিজিটাল উদ্ভাবনবিষয়ক একজন বিশেষজ্ঞ টুইটারের এ ঘোষণাকে 'যুগান্তকারী মুহূর্ত' হিসাবে বর্ণনা করেছেন।


স্টনি ব্রুক ইউনিভার্সিটি স্কুল অব জার্নালিজমের ডিজিটাল ইনোভেশনের লয়েব ভিজিটিং প্রফেসর শ্রী শ্রীনিবাসন বলেন, কিছু লোক টুইটারের বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নেবে না। তবে আমরা কর্মক্ষেত্রে নমনীয়তা সম্পর্কে সিলিকন ভ্যালি থেকে অনেক কিছু শিখতে পারি। একটি মানসিকতা আছে যে, বাড়ি থেকে কাজ করা মাসে বসের কাছ থেকে লুকানো এবং অফিসের ফেসটাইম বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তবে লোকেরা প্রমাণ করছে ,তারা আরও বেশি উত্পাদনশীল হতে পারে এবং বাড়ি থেকে কাজ সম্পাদন করতে পারে। অনেক লোক আমাকে বলে তারা বাড়িতে কঠোর পরিশ্রম করছে এবং ক্লান্ত হয়ে পড়েছে।


বিশ্বজুড়ে ৪ হাজারের বেশি কর্মী সানফ্রান্সিকোভিত্তিক প্রতিষ্ঠান টুইটারে কাজ করেন। গত মার্চ মাস থেকে কর্মীদের বাড়িতে বসে কাজের সুযোগ দেয় টুইটার। সেপ্টেম্বর নাগাদ অফিস খোলার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।