চীনে এ বছরই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে

করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে চীনে গবেষণা এগিয়ে চলেছে। ছবি: রয়টার্স
করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে চীনে গবেষণা এগিয়ে চলেছে। ছবি: রয়টার্স

পরীক্ষা শেষ হোক বা না হোক, এ বছরের শেষের দিকে কিছু মানুষকে কোভিড -১৯ ভ্যাকসিন দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে চীন। দেশটির রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের প্রধান গাউ ফু এ কথা বলেন। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

গাও ফু বলেন, কে এই ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য যোগ্য হবে, তা নির্ধারণে নির্দেশিকা তৈরি করছে জাতীয় টিকাদান কর্মসূচি।

চীনে প্রতিদিনের সংক্রমণের সংখ্যা কমে যাওয়ায় ভ্যাকসিন প্রস্তুকারকেরা চূড়ান্ত পর্যায়ে পরীক্ষ করতে সমস্যায় পড়তে পারেন। কারণ তাদের তুলনা করার মতো পর্যাপ্ত রোগী হাতে থাকবে না।

শনিবার বেইজিংয়ে চাইনিজ পিপলস পলিটিক্যাল কনসালটেটিভ কনফারেন্সে গাও বলেন, জাতীয় টিকাদান কর্মসূচি কারা কখন টিকা পাবে, তা নিয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করবে।আমি বিশ্বাস করি, আমরা নির্দিষ্ট পরিস্থিতিগুলির ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেব। কারণ, আমরা সাধারণ প্রোটোকলটি অনুসরণ করব না। অন্যথায় সময় নষ্ট হবে।করোনাভাইরাস সম্পর্কে আমাদের জ্ঞানের ভিত্তিতে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। কারণ ভাইরাসটি অত্যন্ত অনন্য।

কোভিড-১৯ সৃষ্টির জন্য দায়ী সার্স-কোভ-২ ভাইরাসটি মানুষের ক্ষেত্রে আবিষ্কৃত সপ্তম করোনাভাইরাস। অন্য ছয়টি সংস্করণ সার্স, মার্স মারাত্মক সংক্রমণ ঘটানেোর পাশাপাশি সাধারণ সর্দির জন্যও দায়ী হতে পারে। টিকাদানকে একমাত্র কার্যকর চিকিত্সা সমাধান হিসাবে দেখা হচ্ছে, যা কোভিড-১৯ মহামারির অবসান ঘটাতে পারে।

এখন পর্যন্ত প্রায় ১২০টি ভ্যাকসিন তৈরির কাজ চলছে। তবে চীনের তিয়ানজিনভিত্তিক ক্যানসিনো ও একাডেমি অব মিলিটারি মেডিকেল সায়েন্সেস যৌথভাবে একটি ভ্যাকসিন তৈরি করেছে। যা চীনে ক্লিনিক্যাল পরীক্ষার দ্বিতীয় ধাপে রয়েছে। কানাডা কর্তৃপক্ষ এ ভ্যাকসিনটি সেখানে পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছে।

চীনে তৈরি আরও তিনটি ভ্যাকসিন মানুষের ওপর পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদীয়মান রোগের প্রধান মারিয়া ভ্যান কেরখোভ গত সপ্তাহে বলেছিলেন যে ভ্যাকসিনগুলির তৈরির ক্ষেত্রে কোনেো সংক্ষিপ্ত পথ নেওয়া হবে না। ভ্যাকসিন সমস্ত সুরক্ষা ও কার্যকারিতা প্রয়োজন অনুযায়ী পূরণ করবে কি না ,তা নিশ্চিত করার জন্য কোনো পদক্ষেপ এড়ানো উচিত নয়।

গাও বলেন, ভ্যাকসিন অবশ্যই নিরাপদ ও কার্যকর হতে হবে। তবে গাও বলেছেন, একটি মানসম্পন্ন চিকিৎসা বিকাশ হতে ১২ থেকে ১৮ মাস সময় লাগতে পারে। জরুরি অবস্থা বা বিশেষ প্রয়োজনের নির্দিষ্ট গ্রুপের মানুষের জন্য ভ্যাকসিন ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে এটি গণহারে ব্যবহার করা ঠিক হবে না। কেবল নির্দিষ্ট গ্রুপ পাবে।