'বাড়িতে বসে কাজে' মজা পেয়েছেন জাকারবার্গ

মার্ক জাকারবার্গ। ছবি: রয়টার্স
মার্ক জাকারবার্গ। ছবি: রয়টার্স

বর্তমান বিশ্বপরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রায় সব বড় প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মীদের ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ বা দূর থেকে কাজ করার বিকল্প সুবিধা দিয়েছে। তবে এখন বিশ্ব এই ‘নতুন সাধারণ’ নিয়মে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে। কীভাবে কাজ সম্পাদন করা হবে, এর জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আলাদা ধারণা নিচ্ছে। বৃহত্তম সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং জায়ান্ট ফেসবুকের প্রধান মার্ক জাকারবার্গ বলেছেন, প্রতিষ্ঠানটি কোনো একসময় কর্মীদের স্থায়ীভাবে দূরে বসে কাজ করার আবেদন গ্রহণ করতে শুরু করবে।

জাকারবার্গ বলেছেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছি যে কর্মীরা চাইলে চলতি বছরের শেষ নাগাদ বাড়িতে বসে কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন। তবে কোভিড–১৯ পরিস্থিতির উন্নতি না হলে এর মেয়াদ আরও বাড়বে।’

প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ‘দ্য ভার্জ’কে এক সাক্ষাৎকারে জাকারবার্গ বলেন, ‘দীর্ঘ মেয়াদে আমরা কর্মীদের বাড়িতে থেকে কাজের সুযোগ দিতে অনুরোধ গ্রহণ করতে যাচ্ছি। এটা নতুন একটি সংস্কৃতি। এতে ভৌগোলিক সীমারেখা পার করে ফেসবুক বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মেধাবী কর্মীদের নিয়োগ দিতে পারবে। এটি কেবল নিয়োগের ক্ষেত্রেই নয়, কর্মী ধরে রাখার ক্ষেত্রেও সুবিধা হবে। কারণ, অনেক কর্মী অবস্থানগত কারণে চাকরি ছেড়ে দেন।

এর কর্মীদের মধ্যে পরিচালিত জরিপের ভিত্তিতে জাকারবার্গ বলেন, কোম্পানির প্রায় ৪০ শতাংশ কর্মী বাড়ি থেকে কাজ করতে আগ্রহী।

ঘরে বসে এই নতুন কাজের অনুশীলনটি কর্মীদের উৎপাদনশীলতায় প্রভাব ফেলছে কি না, তা নিয়ে যখন অনেকেই দুশ্চিন্তা করছেন, তখন জাকারবার্গ মনে করেন, এটি তাঁদের জন্য আশ্চর্যজনকভাবে ইতিবাচক হয়েছে।

ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী বলেন, ‘যে বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে অবাক করে দিয়েছে, তা হচ্ছে কর্মীরা বাড়িতে প্রত্যাশার চেয়ে বাড়তি উৎপাদনশীলতা দেখিয়েছেন। তাঁরা প্রত্যাশার চেয়েও ভালো করেছেন। কিছু মানুষ মনে করেছিলেন, সবকিছু ভেঙে পড়বে। তা ঘটেনি। অনেক মানুষ বলছেন, তাঁরা আগের চেয়ে বেশি উৎপাদনশীল।’

জাকারবার্গ নিজের উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘বাড়ি বসে বেশি কাজের কথাটি আমার জন্যও প্রযোজ্য। আমি অবশ্যই মনে করি, বাড়িতে বসে আমি দীর্ঘ সময় কাজ করেছি। আমি যতটা ভেবেছিলাম, এটা তার চেয়েও বেশি উৎপাদনশীলতার কাজ হয়েছে।’

তার কাজের ধরন যাতে তাঁকে ব্যবসায়িক অংশীদার এবং সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে বেশি সময় কাটাতে হয়, তারপরও জাকারবার্গ বলেছেন, এখন থেকে তিনি তাঁর বেশির ভাগ সময় দূর থেকে কাজ করে কাটানোর পরিকল্পনা করছেন।