চাপের মুখে ফেসবুকের নীতিমালা পরিবর্তনের ঘোষণা জাকারবার্গের

মার্ক জাকারবার্গ
মার্ক জাকারবার্গ

যুক্তরাষ্ট্রে জর্জ ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদকারীদের নিয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিতর্কিত মন্তব্যের বিষয়ে ব্যবস্থা না নেওয়ায় নানামুখী চাপে ছিলেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ। এই চাপের মুখে গত শুক্রবার ফেসবুকের নীতিমালা পুনর্মূল্যায়নের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের কাছে চিঠি লিখে নীতিমালা পর্যালোচনার কথা জানান।

গত ২৫ মে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিস শহরে শ্বেতাঙ্গ পুলিশের হাতে জর্জ ফ্লয়েড নামের এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি নিহত হওয়ার প্রতিবাদে দেশজুড়ে সহিংস বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ফেসবুক, টুইটারে পোস্ট দেন, ‘লুটপাট শুরু হলে গুলিও শুরু হবে।’ ট্রাম্পের এই বিতর্কিত পোস্ট সারা দেশে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি করে। গণ-অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় টুইটার কর্তৃপক্ষ ট্রাম্পের ওই পোস্টটি ঢেকে দেয়। তবে আরেক প্রযুক্তি জায়ান্ট ফেসবুক ট্রাম্পের ওই পোস্টের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। বিষয়টি নিয়ে নানা মহল যখন তীব্র সমালোচনায় মত্ত, তখন জাকারবার্গ ওই সময় বলেছিলেন, ফেসবুক ট্রাম্পের সাম্প্রতিক পোস্ট অপসারণ বা ঢেকে দেবে না। এটা তাঁদের প্রতিষ্ঠানের নীতিমালার সঙ্গে যায় না।

প্রধান নির্বাহী জাকারবার্গের এমন বক্তব্যে হতাশ হন স্বয়ং তাঁর প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা। তাই ট্রাম্পের বিতর্কিত ওই মন্তব্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় জাকারবার্গের প্রতি ক্ষোভ জানিয়ে অনেক কর্মী কর্মবিরতি পালন করেন। এই ঘটনার জেরে কিছু কর্মী চাকরি ছাড়ার কথা ভাবছেন, যা প্রতিষ্ঠানের জন্য খুবই খারাপ পরিস্থিতির জন্ম দেবে বলে আশঙ্কা।

বিষয়টি নিয়ে প্রতিষ্ঠানের ভেতরে ক্ষোভ বেড়ে যাওয়ায় তা প্রশমনের জন্য উদ্যোগী হতে শুরু করেন জাকারবার্গ। ফেসবুকের নীতিমালা পুনর্বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়ে শুক্রবার তিনি সব কর্মীর কাছে চিঠি পাঠান। চিঠিতে জাকারবার্গ লিখেছেন, ‘আলোচনার সুযোগ দিতে আমরা আমাদের নীতিমালা পর্যালোচনা করতে যাচ্ছি এবং রাষ্ট্রীয় শক্তি ব্যবহারের হুমকির বিষয়ে যদি কোনো সংশোধনীর দরকার পড়ে, তাহলে আমরা সেটা করব।’

জর্জ ফ্লয়েড নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে একের পর এক বেফাঁস মন্তব্য করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এগুলো ঢেকে দিতে বা মুছে ফেলতে প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে দাবি জানানো হয় বিভিন্ন মহল থেকে।