জ্যাক মাকে পেছনে ফেললেন পনি মা

পনি মা ও জ্যাক মা
পনি মা ও জ্যাক মা

চীনের শীর্ষ ধনী হিসেবে আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মাকে পেছনে ফেলেছেন দেশটির বৃহত্তম গেম নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেনসেন্টের পনি মা। তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ৫ হাজার কোটি ডলারের। জ্যাক মার মোট সম্পদের পরিমাণ ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের। টেনসেন্ট হোল্ডিংস লিমিটেডের সম্পদ এ সপ্তাহে ৪ হাজার কোটি ডলার বেড়েছে।

এদিকে গ্রুপনের মতো শপিং অ্যাপ্লিকেশন পিনডুয়োডুয়ো বা পিডিডির প্রতিষ্ঠাতা কলিন হুয়াং চীনা রিয়েল এস্টেট মোগল হু কা ইয়ানকে পেছনে ফেলে তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছেন। ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার সূচকে সম্প্রতি এ রদবদল ঘটেছে।

ব্লুমবার্গের তথ্য অনুযায়ী, করোনা মহামারিতে কর্মক্ষেত্রের ডিজিটাইজেশন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়েছে। গ্রাহকের অভ্যাস বদলে অনেক ইন্টারনেটভিত্তিক কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। চীনে প্রযুক্তি টাইকুনদের ধনীদের তালিকায় আধিপত্য দেখা গেছে। শীর্ষ পাঁচজন ধনীর মধ্যে চারজনই প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের। চতুর্থ স্থানে থাকা রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠান চায়না এভারগ্রান্ডের হুইয়ের পরেই আছেন টেনসেন্টের সমজাতীয় প্রতিষ্ঠান নেটইজ ইনকরপোরেশনের প্রতিষ্ঠাতা দিং লেই।

২০১৮ সালে চীনে নতুন গেমের অনুমোদন বন্ধ করে দেওয়া হলে টেনসেন্ট বেশ পিছিয়ে গিয়েছিল। তবে এরপর থেকে অবশ্য প্রতিষ্ঠানটি অনলাইন গেম জোরদার করায় শেয়ারের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। গত মাসে টেনসেন্ট তাদের প্রথম প্রান্তিকের আয় ২৬ শতাংশ বাড়ার কথা বলেছে। ব্লুমবার্গ ইনটেলিজেন্সের বিশ্লেষক ভে-সার্ন লিং বলেছেন, টেনসেন্টের অনলাইন গেম বিভাগ কোভিড-১৯-এর সময় দারুণ পারফর্ম করেছে। টেনসেন্টের ব্যবসা ভালো হওয়ায় সম্পদ বেড়েছে পনি মার (৪৮)। প্রতিষ্ঠানটিতে তার ৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

দক্ষিণ চীনের গোয়াংদনের বাসিন্দা শেনঝেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্স পড়াশোনা করেছেন। ১৯৯০ সালে চারজন উদ্যোক্তাকে নিয়ে টেনসেন্ট প্রতিষ্ঠার আগে তিনি সফটওয়্যার ডেভেলপার হিসেবে কাজ করেছেন। ওই সময় টেনসেন্ট মূলত ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ সেবা নিয়ে কাজ করত।

পনি মার শীর্ষ ধনী হিসেবে ফিরে আসতে বেশ সময় লেগেছে। তিনি ২০১৩ সালে চীনের দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী ওয়াং জিয়ানলিনকে পেছনে ফেলেন এবং ২০১৪ সালে তিনি বেইদু ইনকরপোরেশনের রবিন লিকে পেছনে ফেলে শীর্ষ ধনী হয়ে যান। তবে এরপরই আলিবাবা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আইপিও ছাড়লে জ্যাক মা শীর্ষ ধনী বনে যান।

ব্লুমবার্গের তথ্য অনুযায়ী, টেনসেন্টের আয় এ বছর বেশ কিছু ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠানের চেয়ে কম হয়েছে। বিশেষ করে ই-কমার্স, গেম ও অনলাইন বিনোদন দাতা প্রতিষ্ঠানের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে টেনসেন্ট। ২০২০ সালে টেনসেন্টের শেয়ারের দাম বেড়েছে ৩১ শতাংশ আর পিডিডির দাম দ্বিগুণ হয়েছে। আলিবাবার শেয়ারের দাম বেড়েছে ৬.৯ শতাংশ।