সাইবার আক্রমণের 'রেড জোনে' বাংলাদেশ: সিটিও ফোরাম

সিটিও ফোরাম
সিটিও ফোরাম

করোনাভাইরাস মহামারির সময় সাইবার দুর্বৃত্তরা বসে নেই। তারা আরও বেশি সক্রিয় হয়ে উঠেছে। মানুষ এখনো অনেকটাই অদক্ষ হয়েও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। সম্প্রতি ইন্টারপোল থেকে বিশ্বব্যাপী সাইবার আক্রমণের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ রয়েছে সাইবার আক্রমণের রেড জোনে। গতকাল শনিবার দেশের প্রধান কারিগরি কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত সিটিও ফোরাম আয়োজিত ‘সাইবার ক্রাইম অ্যান্ড ডেটা ব্রিচ ইন প্যান্ডেমিক’ শীর্ষক এক আলোচনা অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকারের ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালক রেজাউল করিম বলেন, ‘দেশের আর্থিক খাতে ডিজিটালাইজেশন অব্যাহত রাখতে হবে। সাইবার আক্রমণের ঝুঁকিকে সর্বোচ্চ মনে করে কর্মকর্তাদের পাশাপাশি গ্রাহকদের সচেতন থাকতে হবে। ডিজিটাল রূপান্তরের বিষয়টি এখন আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। রূপান্তরের প্রক্রিয়ায় থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এখন দ্রুত ডিজিটাল পথে হাঁটতে হবে।’

সিটিও ফোরামের সেশনে বলা হয়, ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের তথ্য অনুযায়ী, কোভিড-১৯ মহামারি আর্থিক খাতে প্রযুক্তির ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা দেখিয়ে দিয়েছে। আমাদের এই দিকটি বিবেচনা করে সংকটকে সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করতে হবে।’

সিটিও ফোরামের সভাপতি তপন কান্তি সরকার বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে সবাইকে নতুন পরিবেশে কাজ করতে হচ্ছে। বাড়িতে বসে কাজের ক্ষেত্রে অনেক সময় অফিসের মতো নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকে না। এতে নেটওয়ার্ক ব্যবস্থায় ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। দেশে মোবাইল ব্যাংকিং খাতেও ঝুঁকি বেড়েছে। আর্থিক খাতই মূলত সাইবার দুর্বৃত্তদের প্রধান লক্ষ্য। সাইবার আক্রমণ ঠেকাতে তাই সচেতনতার বিকল্প নেই। এ ছাড়া এ খাতে যথাযথ বিনিয়োগ ও ডিজিটাল রূপান্তর প্রক্রিয়াকে দ্রুত এগিয়ে নিতে হবে।’

অনুষ্ঠানে সাইবার নিরাপত্তাবিষয়ক বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক সৈয়দ আখতার হোসেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান তথ্য নিরাপত্তা কর্মকর্তা মেহেদি হাসান, গ্রামীণফোনের তথ্য নিরাপত্তা প্রকৌশলী শাহাদাত হোসেন ও সিটিও ফোরামের নির্বাহী সদস্য আজিম উ. হক।