১ ঘণ্টার ভিডিওতে সূর্যের ১০ বছরের জীবন

নাসার ভিডিও থেকে সংগৃহীত ছবি।
নাসার ভিডিও থেকে সংগৃহীত ছবি।

সূর্যের আলো ও তাপ পৃথিবীতে জীবন সম্ভব করে তুলেছে। কিন্তু খালি চোখে কি সূর্যের দিকে তাকানো সম্ভব? কঠিন এই কাজই সহজ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। এক ঘণ্টার ভিডিওতে সংস্থাটি ধারণ করেছে সূর্যের ১০ বছরের জীবন। খালি চোখেই দেখা যাবে সেই ভিডিও।

এক বিবৃতিতে নাসা বলেছে, মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি সম্প্রতি সূর্যের ওই ভিডিও প্রকাশ করেছে। নাসার সোলার ডাইনামিকস অবজারভেটরি (এসডিও) এক দশক ধরে সূর্যকে বিরতিহীন পর্যবেক্ষণ করে যাচ্ছে। পৃথিবীকে প্রদক্ষিণরত এই মহাকাশযান ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত সূর্যের ৪২ কোটি ৫০ লাখ উচ্চ মানের ছবি তুলেছে। এসব ছবি দিয়েই তৈরি করা হয়েছে ভিডিওটি। ‘সূর্যের এক দশক’ শীর্ষক ওই ভিডিওর দৈর্ঘ্য ৬১ মিনিট। ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১০ বছর সময়ের প্রতি ১ ঘণ্টার একটি করে ছবি নিয়ে সাজানো হয়েছে ভিডিওটি।

চাঁদে শৌচাগারের নকশা চায় নাসা

নাসা এখন এমন একটি শৌচাগারের নকশার সন্ধান করছে, যা কম অভিকর্ষ বলে কাজ করে। এর জন্য পুরস্কারও ঘোষণা করেছে মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি। সিএনএন জানায়, ২০২৪ সালে চাঁদে আবারও মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে নাসার।

নাসা জানিয়েছে, চাঁদে যে মহাকাশযানটি অবতরণ করবে, সেটির শৌচাগারটির বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে পানি শোষণক্ষমতা, দুর্গন্ধ ও দূষণমুক্ত হওয়া অত্যাবশ্যক। শৌচাগারের নকশায় যদি বমি শোষণের ব্যবস্থা থাকে, তাহলে বোনাস পয়েন্ট পাওয়া যাবে। এ ক্ষেত্রে শর্ত হলো, মহাকাশচারীকে বমির জন্য শৌচাগারে মাথা নত করতে হবে না। তিনি বমি করামাত্র শৌচাগারটি স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থায় তা শোষণ করবে।

দুজন মহাকাশচারীর ১৪ দিনের ভ্রমণের কাজে আসতে হবে শৌচাগারটি। শুধু তা-ই নয়, এতে বর্জ্য সংরক্ষণের এমন ব্যবস্থা থাকতে হবে, একবার ব্যবহারের পর সর্বোচ্চ পাঁচ মিনিটের মধ্যে আবার ব্যবহারের উপযোগী হতে হবে একে। বিদ্যুতের খরচ অবশ্যই ৭০ ওয়াটের কম হতে হবে এবং গড়পড়তা শৌচাগারের তুলনায় যতটা সম্ভব শব্দ কম হতে হবে। পৃথিবীতে এর ওজন হতে হবে ১৫ কেজির কম এবং আয়তন হতে হবে শূন্য দশমিক ১২ ঘনমিটারের কম। সেরা নকশার জন্য নাসা ২০ হাজার মার্কিন ডলার পুরস্কার দেবে।