ভ্যাকসিনের দৌড়ে কে জয়ী হবে?

ভ্যাকসিন তৈরিতে কাজ করছেন গবেষকেরা। ছবি: রয়টার্স
ভ্যাকসিন তৈরিতে কাজ করছেন গবেষকেরা। ছবি: রয়টার্স

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বিশ্বজুড়ে গবেষকেরা একটি ভ্যাকসিন তৈরির লক্ষ্যে ছুটছেন। এর মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১৪০টির বেশি ভ্যাকসিনের ওপর নজর রেখেছে। ভ্যাকসিন তৈরি ও পরীক্ষা করতে সাধারণত বেশ কয়েক বছর সময় লাগে। বেশ কয়েকটি ধাপ পেরিয়ে তবেই ভ্যাকসিন ব্যবহারের উপযোগী হয়। তবে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে গবেষকেরা ১২ থেকে ১৮ মাসের মধ্যেই তা সম্পন্ন করার চেষ্টা করে যাচ্ছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের তথ্য অনুযায়ী, ভ্যাকসিন মূলত ভাইরাসের প্রতিরূপ বা ভাইরাসের অংশ, যা সুরক্ষার কাজে ব্যবহার করা হয়। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে জাগিয়ে অ্যান্টিবডি উৎপন্ন করে। তবে ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষেত্রে অন্য ওষুধের চেয়ে উন্নত নিরাপত্তা মান বজায় রাখতে হয়। কারণ, এটি লাখো মানুষের শরীরে দেওয়া হয়ে থাকে। ভ্যাকসিন মূলত কয়েকটি ধাপে পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। প্রি-ক্লিনিক্যাল ধাপের পরীক্ষায় গবেষকেরা ভ্যাকসিন মূলত পশুর দেহে প্রয়োগ করেন এবং তাতে প্রতিরোধী ক্ষমতা পর্যবেক্ষণ করেন। এরপর পরীক্ষার প্রথম ধাপে অল্প কয়েকজন মানুষের শরীরে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে এর নিরাপত্তা ও প্রতিরোধী ক্ষমতা দেখা হয়। দ্বিতীয় ধাপে কয়েক শ মানুষের শরীরে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে এর নিরাপত্তা ও ডোজ সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করা হয়। তৃতীয় ধাপে এসে কয়েক হাজার মানুষের শরীরে ভ্যাকসিন দিয়ে এর কার্যকারিতা, নিরাপত্তা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এ সময় নিয়ন্ত্রিত গ্রুপকে ভিন্ন ওষুধ বা প্লাসেবো দিয়েও পরীক্ষা করে দেখা হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, গার্ডিয়ান একটি ভ্যাকসিন ট্র্যাকার প্রকাশ করেছে, যাতে ১৩২টি ভ্যাকসিন প্রি-ক্লিনক্যাল ধাপে, ১৪টি ভ্যাকসিন প্রথম ধাপে, ৮টি ভ্যাকসিন দ্বিতীয় ধাপে, ২টি ভ্যাকসিন তৃতীয় ধাপে রয়েছে বলে দেখানো হয়েছে। এ ট্র্যাকারে কোনো ভ্যাকসিন অনুমোদন পেয়েছে বলে দেখানো হয়নি। এদিকে, ২ জুলাই হালনাগাদ করা নিউইয়র্ক টাইমসের একটি ট্র্যাকারে ১২৫টির বেশির ভাগই ভ্যাকসিন প্রি-ক্লিনিক্যাল ধাপে, ১৪টি প্রথম ধাপে, ১১টি দ্বিতীয় ধাপে, ৩টি তৃতীয় ধাপে ও ১টি ভ্যাকসিন অনুমোদন পেয়েছে বলে দেখানো হচ্ছে। অনুমোদন পাওয়া ভ্যাকসিনটি চীনের ক্যানসিনো বায়োলজিকসের। সামরিক পর্যায়ে পরীক্ষামূলক ব্যবহারের জন্য এটি অনুমোদন পেয়েছে।

গার্ডিয়ানের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা মিলে যে ভ্যাকসিন তৈরি করছে, তা মানুষের শরীরে শক্তিশালী প্রতিরোধী ব্যবস্থা তৈরি করে। এটি যুক্তরাজ্যে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা হচ্ছে। এ ছাড়া তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা শুরু হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলে।

চীনের ক্যানসিনো বায়োলজকিস ও চীনের সামরিক বাহিনীর ঘনিষ্ঠ বেইজিং ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি তৈরি একটি ভ্যাকসিন দ্বিতীয় ধাপে ইতিবাচক ফল দেখায়। তবে পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়নি। বিশ্বের প্রথম করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন হিসেবে সামরিক বাহিনীতে ব্যবহারের জন্য এটি অনুমোদন পেয়েছে। তবে এটি বিস্তৃত পর্যায়ে কীভাবে বণ্টন করা হবে, তা পরিষ্কার করা হয়নি।

মার্কিন জৈবপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মডার্না এমআরএনএভিত্তিক একটি ভ্যাকসিন তৈরি করছে, যা শরীরে কৌশলে ভাইরাল প্রোটিন তৈরি করে। এর আগে কখনো সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে এমআরএ ভ্যাকসিন অনুমোদন পায়নি বা মডার্নাও আগে কোনো ভ্যাকসিন আনেনি। তবে এটি প্রচলিত ভ্যাকসিনের চেয়ে দ্রুত ও কম খরচে উৎপাদন করা যায়। এদিকে, করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন তৈরি নিয়ে আলোচনায় থাকা মডার্না তাদের ভ্যাকসিনের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা পেছানোর কথা বলেছে। এতে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের দাম ৬ দশমিক ২ শতাংশ কমে গেছে।

অন্যদিকে, পরীক্ষায় দ্বিতীয় ধাপে থাকা অন্য ভ্যাকসিন উৎপাদকদের মধ্যে রয়েছে উহান ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্টস ও সিনোফ্রাম, বেইজিং ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্টস ও সিনোফ্রাম, সিনোভ্যাক, নোভাভ্যাক্স, বায়ো এন টেক, ফসুন ফার্মা ও ফাইজার। এদিকে প্রথম ধাপে থাকা আলোচিত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল বায়োলজি, চাইনিজ একাডেমি অব মেডিকেল সায়েন্সেস, ইনোভিও ফার্মাসিউটিক্যালস, জেনেক্সিন কনসোর্টিয়াম, গামেইলা রিসার্চ ইনস্টিটিউট, ক্লোভার বায়োফার্মাসিউটিক্যালস ইনকরপোরেশন, গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন, ডায়ানাভ্যাক্স, আনহুই জেইফি লংকম বায়োফার্মিসিউটিক্যাল, ইনস্টিটিউট অব মাইক্রোবায়োলজি, চাইনিজ একাডেমি অব সায়েন্সেস, ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডন, কিউরভ্যাক, পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) একাডেমি অব মিলিটারি সায়েন্সেস ও ওয়ালভ্যাক্স বায়োটেক।

ভ্যাকসিন তৈরির চূড়ান্ত ধাপে রয়েছেন গবেষকেরা। ছবি: রয়টার্স
ভ্যাকসিন তৈরির চূড়ান্ত ধাপে রয়েছেন গবেষকেরা। ছবি: রয়টার্স

এর বাইরে ইউনিভার্সিটি অব মেলবোর্ন ও মারডক চিলড্রেনস রিসার্চ ইনস্টিটিউট ১০০ বছর পুরোনো যক্ষ্মার টিকা নিয়ে তৃতীয় ধাপের একটি পরীক্ষা চালাচ্ছে। এ ভ্যাকসিন সরাসরি কোভিড-১৯ থেকে সুরক্ষা দেবে না, তবে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেবে।

নিউইয়র্ক টাইমসের করোনা ট্র্যাকার অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষেত্রে আরও বেশ কিছু অগ্রগতি দেখা গেছে। এর মধ্যে জাপানের জৈবপ্রযুক্তি উদ্যোগ অ্যানজিস ভ্যাকসিনের প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা শুরু করেছে। আগামী বছরের মার্চ মাসের মধ্যে করোনার ভ্যাকসিনের ১০ লাখ ডোজ উৎপাদন করতে চাইছে প্রতিষ্ঠানটি।

ভারতের হায়দরাবাদভিত্তিক ভারত বায়োটেক ‘কোভ্যাক্সিন’ নামের একটি ভ্যাকসিন উৎপাদনে সফল হওয়ার দাবি করেছে। বিশ্বজুড়ে যে ভ্যাকসিন তৈরির প্রতিযোগিতা চলছে, এতে এটা ভারতের প্রথম ভ্যাকসিনপ্রার্থী। এ ভ্যাকসিন তৈরিতে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর) ও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি (এনআইভি) একত্রে কাজ করবে। তারা শিগগিরই প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা শুরু করবে।

অস্ট্রেলিয়ার কোম্পানি ভ্যাক্সিন প্রথম ধাপে ভ্যাকসিনের পরীক্ষা শুরু করেছে। গত বুধবার কোভিড-১৯ প্রতিরোধে পরীক্ষামূলক ভ্যাকসিনের ইতিবাচক ফল পাওয়ার কথা জানিয়েছে মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ফাইজার ও জার্মান কোম্পানি বায়ো এন টেক। প্রতিষ্ঠান দুটি তাদের ভ্যাকসিনের ইতিবাচক ফল জানিয়ে দাবি করেছে, এটি স্বাস্থ্যবান মানুষের মধ্যে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের ছোট আকারের একটি পরীক্ষায় ইতিবাচক ফল পাওয়ার দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ার ছোট বায়োটেক কোম্পানি ইনোভিও ফার্মাসিউটিক্যালের গবেষকেরা।

দেশেও করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। চলতি মাসে চীনের করোনার টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বাংলাদেশে শুরু হতে পারে। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) চীনা প্রতিষ্ঠান সিনোভ্যাকের অংশীদার হিসেবে এই পরীক্ষা চালাবে।

নিউইয়র্ক টাইমসের তথ্য অনুযায়ী, সিনোভ্যাকের ইনঅ্যাক্টিভেটেড করোনাভ্যাক ভ্যাকসিনটি দ্বিতীয় ধাপে রয়েছে। গত ১৩ জুন তারা ৭৪৩ জনের মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা চালিয়েছিল, যাতে কোনো বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি এবং প্রতিরোধী প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। চীন ও ব্রাজিলে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা চালাবে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বার্ষিক ১০ কোটি ডোজ তৈরির জন্য কারখানা তৈরি করছে তারা। গত মাসে সিনোভ্যাক একাডেমিক জার্নাল সায়েন্সে তাদের গবেষণা ফলাফল প্রকাশ করে, যাতে করোনাভ্যাক নামে তাদের ভ্যাকসিনটি বানরের ওপর পরীক্ষায় সফল বলে জানানো হয়। এটি বানরের শরীরে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সক্ষম হয়েছিল।

গতকাল বৃহস্পতিবার নতুন করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) রোগের টিকা (ভ্যাকসিন) উদ্ভাবনের দাবি করেছে ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালস গ্রুপ অব কোম্পানিজ লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো কোনো প্রতিষ্ঠান এই টিকা উদ্ভাবনের দাবি করল। প্রতিষ্ঠানটি গত ৮ মার্চ এই টিকা তৈরির কাজ শুরু করে। সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, সব ধাপ পার হতে পারলে আগামী ছয় থেকে সাত মাসের মধ্যে টিকা বাজারে আনা সম্ভব হবে।

প্রযুক্তিবিষয়ক মার্কিন ওয়েবসাইট সিনেট বলছে, প্রত্যাশার চেয়েও দ্রুত চলে আসতে পারে ভ্যাকসিন। সাধারণত, ভ্যাকসিন বিশ্বব্যাপী অনুমোদন, উৎপাদন এবং বিতরণ করতে কয়েক বছর, এমনকি কখনো কখনো কয়েক দশক সময় লাগে। তবে করোনা ভ্যাকসিন পেতে চিকিৎসক ও বিজ্ঞানীরা কঠোর ও দ্রুত কাজ করছেন। সার্স-কোভ-২ প্রথম আবিষ্কার হওয়ার ছয় মাস পরে এসে কমপক্ষে ছয়টি ভ্যাকসিন উন্নয়ন প্রকল্পের ইতিমধ্যে উত্সাহজনক অগ্রগতির খবর পাওয়া যাচ্ছে। আরও অনেক প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে।

ভ্যাকসিন তৈরিতে অগ্রগতি হয়েছে। ছবি: রয়টার্স
ভ্যাকসিন তৈরিতে অগ্রগতি হয়েছে। ছবি: রয়টার্স

আমেরিকার শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ও আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশন ডিজিজেসের পরিচালক অ্যান্থনি ফাউসি বলেছেন, তিনি আশা করেন, ২০২১ সালের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের ভ্যাকসিনটির কয়েক মিলিয়ন ডোজ প্রস্তুত থাকবে। তবে গতকাল তিনি একটি আশঙ্কার কথাও শুনিয়েছেন। তিনি বলেছেন, করোনাভাইরাসের এমনভাবে রূপান্তর ঘটেছে (মিউটেশন), যাতে এটি আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। সম্ভাব্য মিউটেশন ও এর প্রভাবের বিষয়টি নিশ্চিত করতে গবেষণা চলছে। এ তথ্য প্রথম জানান লস অ্যালামস ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির গবেষকেরা। গতকাল তাঁদের একটি নিবন্ধ ‘সেল’ সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন বলেছিলেন, ভাইরাসের ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক মিউটেশন আশা করা যায়। তবে ভাইরাসের বিশেষ কিছু দিক আছে, যা অনেক জটিল। যেমন স্পাইক প্রোটিন—যা থেকে এর নামকরণ হয়েছে। যদি ভাইরাসের বিশেষ মিউটেশন ঘটে থাকে, তবে ভ্যাকসিন উৎপাদনের ক্ষেত্রে তার প্রভাব পড়বে।

করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনে অগ্রগামী হিসেবে বিবেচিত অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি তৈরি ভ্যাকসিনটির দিকেই সবাই তাকিয়ে আছে। যুক্তরাজ্যের ভ্যাকসিন টাস্কফোর্সের প্রধান কেট বিংহ্যাম জানিয়েছেন, আগামী বছরের শুরুতেই এই ভ্যাকসিন হাতে পাওয়ার আশা করছেন তাঁরা। করোনা মহামারি মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে এই ভ্যাকসিনই সবচেয়ে বড় অস্ত্র হবে বলে মনে করেন তিনি। তবে এই ভ্যাকসিন দিয়েই নতুন করোনাভাইরাস পুরোপুরি মোকাবিলা করা যাবে বলে মনে করেন না কেট। তাঁর মতে, অক্সফোর্ডের তৈরি প্রথম ভ্যাকসিনটি কোভিড-১৯ রোগের উপসর্গ উপশম করতে সাহায্য করবে। এতে করে করোনাভাইরাসের কারণে মানুষের গুরুতর অসুস্থ হওয়া কমতে পারে। তবে এই ভ্যাকসিন দিয়েই মানুষকে করোনাভাইরাস থেকে পুরোপুরি সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব হবে না।

অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন তৈরির পুরো প্রক্রিয়াটির নেতৃত্বে আছেন অধ্যাপক সারাহ গিলবার্ট। তিনি বলছেন, ‘আমি আশা করছি, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই উন্নত ভ্যাকসিন তৈরি করা যাবে এবং এটি মানুষকে রক্ষা করবে।’