করোনায় প্রযুক্তিতে দক্ষ কর্মীদের চাহিদা বেড়েছে

সিটিও ফোরামের লোগো
সিটিও ফোরামের লোগো

দেশের বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে প্রযুক্তিতে দক্ষ কর্মীদের চাহিদা বেড়েছে। দেশের আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য ক্লাউড সেবা, আধুনিক সফটওয়্যার ও সাইবার নিরাপত্তার মতো বিষয়গুলোয় বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে। সম্প্রতি দেশের প্রধান কারিগরি কর্মকর্তাদের সংগঠন সিটিও ফোরাম আয়োজিত ‘ড্রাইভ বিজনেস ভ্যালুজ ডিউরিং প্যান্ডেমিক’ শীর্ষক আলোচনায় এ তথ্য তুলে ধরা হয়।

ভার্চ্যুয়াল এ আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড, ডাচ্‌–বাংলা ব্যাংক লিমিটেড, পূবালী ব্যাংক লিমিটেড এবং শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীবৃন্দ। এতে যুক্ত হন ৩০০ জনের বেশি তথ্যপ্রযুক্তি পেশাজীবী।

সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘কোভিড ১৯ আমাদের ভালো শিক্ষা দিয়েছে। গত তিন মাসে সোনালী ব্যাংক প্রযুক্তির দিক থেকে পাঁচ বছর এগিয়ে গেছে। সরকারি ব্যাংকগুলোও ডিজিটালাইজেশন মাথায় রেখে এগিয়ে যাচ্ছে। সোনালী ব্যাংক ই-সেবা মোবাইল অ্যাপ নিয়ে হাজির হয়েছে যাতে মাত্র ২ থেকে ৪ মিনিটে কমপ্লিট ই-কেওয়াইসির মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খোলা যাচ্ছে।’

পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল হালিম চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের বোর্ড সভাগুলো এখন ভার্চ্যুয়াল হয়। পূবালী ব্যাংক নিজেরাই নিজেদের সফটওয়্যার ডেভেলপ করছে।’

মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের (এমটিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, এ মুহূর্তে সাইবার নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাংকগুলো এ ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিচ্ছে।

শাহজালাল ইসলামি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম ও ডাচ্‌–বাংলা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কাশেম মোহাম্মাদ শিরিন ব্যাংক খাতে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের গুরুত্বের বিষয় তুলে ধরেন।

সিটিও ফোরাম সভাপতি তপন কান্তি সরকারের সঞ্চালনায় এ সম্মেলনে জানানো হয়, মহামারির সময়ও বৈদেশিক মুদ্রা আয় ১০ শতাংশ বেড়েছে। বর্তমানে দেশের আইসিটি খাত বিশ্বসূচকে ২১তম অবস্থানে রয়েছে। বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে দেশের ফ্রিল্যান্সার ও আইটি বিশেষজ্ঞরা। দেশে বর্তমানে ৪০ থেকে ৪৫ হাজার আইটি ফ্রিল্যান্সার ও বিশেষজ্ঞ বছরে ৫০০ থেকে ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করছেন।

মহামারি–পরবর্তী বিশ্ব অর্থনীতিতে তথ্যপ্রযুক্তি–নির্ভরতা বর্তমান সময়ের চেয়ে ৬০ থেকে ৭০ গুণ বেড়ে যাবে। এই সুযোগের শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের এগিয়ে আসতে হবে।