মঙ্গলে আদি প্রাণের সন্ধানে যাচ্ছে পারসিভিয়ারেন্স

মঙ্গলযান পারসিভিয়ারেন্স। ছবি: রয়টার্স
মঙ্গলযান পারসিভিয়ারেন্স। ছবি: রয়টার্স

নতুন মঙ্গলযান পারসিভিয়ারেন্স উৎক্ষেপণ করছে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা। মঙ্গলে আদি প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজবে পারসিভিয়ারেন্স। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

আজ বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে ফ্লোরিডার কেপ কানাভেরাল থেকে মঙ্গলযানটির যাত্রা শুরুর সময় নির্ধারণ করা আছে।

পরিকল্পনা অনুযায়ী সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২১ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি লাল গ্রহ মঙ্গলে পৌঁছানোর কথা পারসিভিয়ারেন্সের। সফল হলে দুই যুগের মধ্যে পারসিভিয়ারেন্স হবে মঙ্গলে যাওয়া পঞ্চম মার্কিন মহাকাশযান।

নাসার প্রধান জিম ব্রাইডেনস্টাইন গতকাল বুধবার বলেন, এটা প্রশ্নাতীত একটা চ্যালেঞ্জ। তবে কীভাবে মঙ্গলে অবতরণ করতে হয়, তা তাঁদের জানা আছে।

মঙ্গলযান পারসিভিয়ারেন্সের প্রাথমিক লক্ষ্য—আদি প্রাণের অস্তিত্ব অনুসন্ধান করা।

বিজ্ঞানীদের ধারণা, প্রায় ৩০০ বছর আগে এই গ্রহ এখনকার চেয়ে অনেক বেশি উষ্ণ ছিল। গ্রহে নদী ও হ্রদ ছিল। এমন পরিবেশে সেখানে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র প্রাণের অস্তিত্বও থাকতে পারে।

গ্রহটি কীভাবে শীতল ও অনুর্বর হলো, তা পুরোপুরি জানা যায়নি।

প্রকল্পের বিজ্ঞানী কেন ফারলে বলেন, ‘আমরা যা খুঁজছি, তা হলো একেবারে প্রাচীন প্রাণ।’

নাসা যানটি অবতরণের জন্য হ্রদের খাদকে বেছে নিয়েছে। ৩০০ থেকে ৪০০ কোটি বছর আগে সেখানে নদী ছিল বলে বিজ্ঞানীদের ধারণা।

বিশ্বের ৩৫০ জনের বেশি ভূতাত্ত্বিক, ভূরসায়নবিদ, জ্যোতির্বিজ্ঞানী, বায়ুমণ্ডল বিশেষজ্ঞ ও অন্য বিজ্ঞানীরা এই মিশনে অংশ নেবেন।

মঙ্গলযান পারসিভিয়ারেন্স ক্যালিফোর্নিয়ার পাসাডেনায় জেট প্রোপালশন ল্যাবরেটরিতে তৈরি করা হয়। এটি ‘কিউরিওসিটির’ একটি উন্নত সংস্করণ। এটি আরও দ্রুতগতির। এর কম্পিউটিং সিস্টেম অনেক শক্তিশালী। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে দৈনিক ২০০ মিটার বিচরণ করতে পারে। ১ মেট্রিক টন ওজনের পারসিভিয়ারেন্সে রয়েছে ১৯টি ক্যামেরা ও ২টি মাইক্রোফোন।

বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, পারসিভিয়ারেন্সের সাহায্যে এবারই প্রথম মঙ্গলের শব্দ ধারণ করা সম্ভব হবে।

গত সপ্তাহে চীন তার প্রথম মঙ্গলযান উৎক্ষেপণ করে। যার ২০২১ সালের মে মাসে মঙ্গলে পৌঁছানোর কথা।