ঝটপট নুডলস থেকে মেয়েরা সাবধান!

দিন যত যাচ্ছে, ঝটপট তৈরি করে নেওয়ার মতো খাবারের চাহিদা তত বাড়ছে। সময় আর শ্রম বাঁচাতে ‘ইনস্ট্যান্ট ফুডের’ দিকে ঝুঁকছে সবাই। এর মধ্যে নুডলস একটি। পানিতে একটু সেদ্ধ করে ডিম আর তেল-মসলা দিয়ে দু-চার মিনিটে তৈরি করা যায় এ খাবার। সুস্বাদুও বটে।

কিন্তু এই নুডলসের সঙ্গে ঝুঁকিটা যে কত বড়, তা কি কারও খেয়াল আছে? বিশেষ করে মেয়েদের বেলায়। ইনস্ট্যান্ট নুডলস ধাঁ করে রক্তে চিনি আর কোলেস্টেরোল বাড়িয়ে দেয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার এএফপির এক প্রতিবেদনে মার্কিন গবেষকেরা তাঁদের এক গবেষণালব্ধ তথ্য থেকে এমনটাই দাবি করেছেন। এ ব্যাপারে ‘জার্নাল অব নিউট্রিশন’ সাময়িকীতে একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, কোরিয়ান ন্যাশনাল হেলথ অ্যান্ড নিউট্রিশন এক্সামিনেশন সার্ভের তত্ত্বাবধানে একটি সমীক্ষা চালানো হয়। এতে ১০ হাজার ৭১১ জন পূর্ণবয়স্ক মানুষ অংশ নেন। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি ছিলেন নারী। পরে এই সমীক্ষা থেকে পাওয়া তথ্য-উপাত্ত নিয়ে গবেষণা করেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা। তাঁরা দেখতে পান, এসব নারী-পুরুষ যাঁরা সপ্তাহে দুইবারের বেশি ইনস্ট্যান্ট নুডলস খেয়েছেন, তাঁদের মধ্যে নারী অংশগ্রহণকারীদের স্বাস্থ্যের অবস্থা শোচনীয়। তাঁদের বিপাকজনিত গুরুতর সমস্যা ‘মেটাবলিজম সিনড্রোমের’ ঝুঁকি ৬৮ শতাংশ বেড়ে গেছে। পুরুষদের বেলায় অবশ্য এই ঝুঁকি আশঙ্কাজনক পর্যায়ে নয়।

মেটাবলিজম সিনড্রোম এমন একটা সমস্যাজনিত অবস্থা, যা হূদরোগ ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। এর প্রভাবে কোমর ও পেটে মেদ জমে।

‘জার্নাল অব নিউট্রিশন’ সাময়িকীর নিবন্ধে বলা হয়েছে, ইনস্ট্যান্ট নুডলস খেলে মেয়েদের বেলায় মেটাবলিজম সিনড্রোমের ঝুঁকি অনেক বেশি বেড়ে যায়, বিশেষ করে যাঁরা সপ্তাহে দুইবারের বেশি এই নুডলস খান।

অন্যদিকে ভাত-মাছ, শাকসবজি বা মাংস ও ভাজাপোড়া ভারী খাবার খেলেও স্বাস্থ্যগত এতটা ঝুঁকি নেই।

ইনস্ট্যান্ট নুডলস পুরুষের চেয়ে নারীর স্বাস্থ্যে এমন বিরূপ প্রভাব ফেলে কেন, এর সুনির্দিষ্ট কারণ এখনো জানা যায়নি।

এ ব্যাপারে হার্ভার্ডের গবেষক ফ্রাঙ্ক হু বলেন, এমন হতে পারে যে শর্করা, চর্বি ও লবণ নারীর স্বাস্থ্যের বেলায় অধিক স্পর্শকাতর।

তা হলে মেয়েরা কি ইনস্ট্যান্ট নুডলস খাবেন না? কেবল তৈরি করেই যাবেন?

এ ব্যাপারে নিউইয়র্ক টাইমসকে হু বলেন, ‘মাসে দু-একবার খেলে সমস্যা নেই। তবে সপ্তাহে কয়েকবার কখনোই নয়।’