একগামিতার কারণ কী?

কগামিতায় মানুষসহ অন্যান্য প্রাণী
কগামিতায় মানুষসহ অন্যান্য প্রাণী

এক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন বা একগামিতায় মানুষসহ অন্যান্য প্রাণীর আকৃষ্ট হওয়ার কারণ অনুসন্ধানকারী বিজ্ঞানীরা এবার নতুন তথ্য জানিয়েছেন। স্তন্যপায়ী প্রাণীদের ওপর পরিচালিত সাম্প্রতিক গবেষণার ভিত্তিতে তাঁরা দাবি করছেন, পুরুষ প্রজাতিগুলোর একগামী হওয়ার নেপথ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ নিজ নিজ সন্তান লালন-পালনে তাদের ব্যস্ততা। এই প্রাণীদের সন্তান পূর্ণবয়স্ক হতে বহু বছর লেগে যায়। আর বাবা তত দিনে একটি সংসারেই থিতু হয়ে পড়ে। প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণা নিবন্ধে বলা হয়, মানুষের একগামিতা কোনো সাংস্কৃতিক ব্যাপার নয়, বরং লাখ লাখ বছরব্যাপী সংঘটিত বিবর্তনের ফল। আর স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মাত্র ৩ শতাংশের মধ্যে একগামী বৈশিষ্ট্য দেখা যায়। যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন, ম্যানচেস্টার ইউনিভার্সিটি, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও নিউজিল্যান্ডের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞানীরা মোট ২৩০টি প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী নিয়ে গবেষণা চালান। এসব প্রজাতির মধ্যে বিদ্যমান একগামিতা, বহুগামিতাসহ অন্যান্য বৈশিষ্ট্য পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, বহুগামী প্রাণীদের মধ্যে অন্য পুরুষের সঙ্গিনীর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন ও অপরের সন্তানকে হত্যার প্রবণতা রয়েছে। কিন্তু একগামী পুরুষ প্রজাতি নিজ বাচ্চাকে আগলে রাখে এবং সঙ্গিনীর সুরক্ষাও নিশ্চিত করে। এএফপি ও ইনডিপেনডেন্ট।