কোন আইপ্যাড কিনবেন?

আইপ্যাড
আইপ্যাড

আইপ্যাড কেনার কথা ভাবছেন কিন্তু কোন মডেলটি কিনবেন ঠিক করতে পারছেন না? এ বছরের অক্টোবরে আইপ্যাড এয়ার২ ও আইপ্যাড মিনি৩ বাজারে এনেছে অ্যাপল। এখন মোট পাঁচটি মডেলের আইপ্যাড থেকে আপনার পছন্দেরটি বেছে নিতে পারেন। এই মডেলগুলো হচ্ছে আইপ্যাড এয়ার, এয়ার২, আইপ্যাড মিনি, মিনি২, মিনি৩। সম্প্রতি এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে আইপ্যাড কেনার ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় মনে রাখার পরামর্শ দিয়েছে।
নতুন আইপ্যাড কেনার ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। প্রথমেই যে বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে তা হচ্ছে আইপ্যাড কী কাজে লাগবে সেটি। বই পড়া, ওয়েবসাইট ব্রাউজিং কিংবা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহারের মতো সাধারণ কাজের ক্ষেত্রে আইপ্যাড মিনি ভালো হবে বলেই বিশ্লেষকেদের পরামর্শ। দামের দিক থেকে মিনি কিছুটা সাশ্রয়ী আবার এয়ারের চেয়ে সহজে বহনযোগ্য। অবশ্য যদি স্প্রেডশিট, ডকুমেন্ট তৈরির মতো ব্যবসাসংক্রান্ত কাজে আইপ্যাড লাগে, তবে বড় মাপের এয়ার মডেল বেছে নেওয়া ভালো। যাঁরা নোট নেওয়া, দ্রুত কোনো জিনিস দেখে নিতে পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য মিনিই ভালো। আর যাঁরা ছবি দেখেন, থ্রিডি গেম খেলেন, ভিডিও সম্পাদনা কিংবা সৃজনশীল কাজ করেন, তাঁদের জন্য আইপ্যাড এয়ার কেনাই যুক্তিযুক্ত হবে।

কোন প্রজন্মের আইপ্যাড কিনবেন? মিনি বা এয়ারের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলার পরও তিনটি আলাদা মডেলের আইপ্যাড মিনি এবং দুটি আলাদা মডেলের এয়ার বাজারে পাবেন। এই মডেলগুলোর মধ্যে উপযোগী ট্যাব বেছে নেওয়া কঠিন। তবে স্টোরেজ বা তথ্য ধারণক্ষমতার ওপর ভিত্তি করেই তা বেছে নিতে পারেন। বিশ্লেষকেরা ১৬ গিগাবাইট স্টোরেজ সুবিধার প্রথম প্রজন্মের আইপ্যাড মিনি না কেনার জন্যই পরামর্শ দেন।
আইপ্যাড কিনবেন, কোনটি?আইপ্যাড মিনি ২ এর চেয়ে এর দাম কিছুটা কম হলেও এর হার্ডওয়্যার বেশ পুরোনো এবং বেশ কিছু অ্যাপ এতে সাবলীলভাবে চলে না। বিশেষজ্ঞ ১৬ গিগাবাইট স্টোরেজ সুবিধার কোনো আইপ্যাড না কিনতেই পরামর্শ দেন। রেটিনা ডিসপ্লের যুগে কমপক্ষে ৩২ গিগাবাইট স্টোরেজ সুবিধা যে প্যাডে থাকবে সেরকম সাম্প্রতিক সংস্করণের আইপ্যাড কেনার পরামর্শ তাঁদের। তাঁদের মতে, দাম একটু বেশি হলেও সাম্প্রতিক সংস্করণগুলোর মধ্যে ৬৪ বা ১২৮ গিগাবাইট মডেলের যেকোনো একটি কেনা ভালো। অবশ্য বাজেট বেশি হলে তবেই আইপ্যাড মিনি ৩ এর দিকে যেতে পারেন।
যাঁরা গেম খেলতে পছন্দ করেন কিংবা ভিডিও সম্পাদনার মতো কাজ করেন তাঁদের জন্য আইপ্যাড পছন্দ করাটা সোজা। আপনাকে বেশি স্টোরেজ সুবিধা ও বেশিক্ষণ চার্জ থাকবে এমন মডেলের দিকেই যেতে হবে। এক্ষেত্রে বাজেটের ওপর নির্ভর করে আপনাকে ৬৪ জিনি বা ১২৮ জিবির আইপ্যাড এয়ার ২ কেনাই যুৎসই হবে। তবে আইপ্যাড কেনার জন্য প্রাথমিক উদ্দেশ্য যদি ছবি দেখা হয় তবে আইপ্যাড এয়ারেই চলবে। আপনি যদি ভিডিও ডাউনলোড করতে পছন্দ করেন তবে যে মডেলটির স্টোরেজ ক্ষমতা বেশি সে মডেলটিই কিনবেন।
ওয়াই-ফাই নাকি সেলুলার? এয়ার ও মিনি উভয় ক্ষেত্রেই শুধু ওয়াই-ফাই মডেল কিংবা ওয়াই-ফাই ও সেলুলার উভয় সুবিধার মডেলই পাবেন। শুধু ওয়াই-ফাই মডেলের চেয়ে সেলুলার সুবিধার মডেলগুলোর দাম বেশি। এ বিষয়টি মাথায় রেখেই আপনাকে আইপ্যাড কেনার পরিকল্পনা করতে হবে। আপনি যদি বাইরে কোথাও আইপ্যাড ব্যবহার না করেন বা শুধু অফিসে বা বাড়িতে ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কে ব্যবহার করেন তবে শুধু ওয়াই-ফাই মডেল হলেই চলবে। আর যাঁরা বেশি ঘোরাঘুরি করেন তাঁদের তো সেলুলার মডেল লাগবেই।

আইপ্যাডের দাম
অ্যাপলের ওয়েবসাইটে আইপ্যাডের ১৬ জিবি দাম ৪৯৯ মার্কিন ডলার। ৩২ জিবি ৫৯৯ মার্কিন ডলার, ১২৮ জিবি ৬৯৯ ডলার। আইপ্যাড এয়ার ৩৯৯ ডলার থেকে শুরু। আইপ্যাড মিনি ৩ এর দাম ৩৯৯ মার্কিন ডলার থেকে শুরু। আইপ্যাড মিনি ২ এর দাম ২৯৯ মার্কিন ডলার থেকে শুরু। আইপ্যাড মিনির দাম ২৪৯ ডলার থেকে শুরু।

বাংলাদেশের বাজারে আইপ্যাডের দাম: আইপ্যাড মিনি ১৬জিবি ৪৬,০০০; ৩২জিবি ৫২,০০০; ৬৪জিবি-৬০,০০০; আইপ্যাড টু ১৬জিবি ৪৭,০০০; ফোর ৮জিবি ৩৯,০০০; ৩২জিবি ৬২,০০০; ৬৪জিবি ৬৯,৫০০ টাকা।