স্মার্টফোনে চোখের ক্ষতি

স্মার্টফোনের ব্যবহারে দৃষ্টি বৈকল্য সৃষ্টি হতে পারে।
স্মার্টফোনের ব্যবহারে দৃষ্টি বৈকল্য সৃষ্টি হতে পারে।

মানুষের জীবনে যেমন স্বাচ্ছন্দ্য এনেছে স্মার্টফোন তেমনি তা স্বাস্থ্যের ওপরও কুপ্রভাব ফেলছে। যুক্তরাজ্যের একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞ সম্প্রতি সতর্ক করে জানিয়েছেন, স্মার্টফোনের ব্যবহারে দৃষ্টি বৈকল্য সৃষ্টি হতে পারে। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের ফিমেল ফার্স্ট পত্রিকা।
চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডেভিড অ্যালামবিয়াম জানিয়েছেন, স্মার্টফোন ব্যবহারে মায়োপিয়া বা ক্ষীণ দৃষ্টির সমস্যা দেখা দিতে পারে। যুক্তরাজ্যের তরুণদের ক্ষেত্রে স্বল্প দৃষ্টির সমস্যা বাড়ছে বলেও জানান তিনি।
যুক্তরাজ্যের ফোকাস ক্লিনিকের প্রতিষ্ঠাতা অ্যালামবিয়াম জানিয়েছেন, ১৯৯৭ সালে স্মার্টফোনের ব্যবহার শুরু হওয়ার পর থেকে ক্ষীণদৃষ্টি সমস্যায় ভুগছেন এমন তরুণদের সংখ্যা ৩৫ শতাংশ বেড়েছে। আগামী এক দশকে তা ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে বলেই ধারণা করছেন তিনি।
যুক্তরাজ্যের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক মানুষের কাছেই এখন স্মার্টফোন রয়েছে। যুক্তরাজ্যের স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা গড়ে দৈনিক দুই ঘণ্টা স্মার্টফোনের স্ক্রিনের দিকে তাকান। পাশাপাশি কম্পিউটার, ট্যাবলেট, ল্যাপটপ ও টেলিভিশনের মতো প্রযুক্তিপণ্যের ব্যবহার চোখের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে বলেই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
গবেষক অ্যালামবিয়াম জানিয়েছেন, স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা সাধারণত চোখ থেকে ৩০ সেন্টিমিটার দূরত্ব রেখে তা ব্যবহার করেন। তবে, অনেকের ক্ষেত্রে এ দূরত্ব মাত্র ১৮ সেন্টিমিটার। সংবাদপত্র, বই বা কোনো কিছু পড়ার ক্ষেত্রে সাধারণত চোখ থেকে গড়ে ৪০ সেন্টিমিটার দূরত্ব থাকে।

যুক্তরাজ্যের এ চক্ষু বিশেষজ্ঞের মতে, চোখের খুব কাছে রেখে অতিরিক্ত সময় ধরে স্মার্টফোন ব্যবহার করলে জিনগত সমস্যা দেখা দিতে পারে। ক্ষীণদৃষ্টি সৃষ্টির জন্য যা ভূমিকা রাখতে সক্ষম। গবেষকেরা একে ‘এপিজেনেটিকস’ সংক্রান্ত বিষয় বলেন।

গবেষকেরা দীর্ঘক্ষণ ধরে স্মার্টফোনে চোখ না রাখতে পরামর্শ দিয়েছেন। দৈনিক কিছু সময় মোবাইল ফোন থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেন তাঁরা। স্মার্টফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে বয়স বিবেচনার বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের গবেষকেরা।

গবেষকরা জানিয়েছেন, বর্তমানে সাত বছরের কম বয়সী শিশুদের হাতেও স্মার্টফোন চলে যাচ্ছে। ২০১৪ সালের মধ্যে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুরা স্মার্টফোন বাজারে ক্রেতার তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকবে। ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে এসময় স্মার্টফোন কেনার সম্ভাবনা বেশি।