'থার্ড প্ল্যাটফর্মের' উন্নয়ন হবে

.
.

যে ধারায় এগোবে প্রযুক্তিবিশ্ব
 তারহীন যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রাধান্য পাবে
 স্মার্টফোন ও ট্যাবলেটের বিক্রি বাড়ার হার হবে মন্থর
 ক্লাউড ব্যবস্থায় আসবে বড়সড় পরিবর্তন
 তথ্যের সমন্বয় ও তথ্য ব্যবস্থাপনা কঠিন হয়ে পড়বে
 চীনা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রভাব বেড়ে যাবে
 তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি খাতে খরচ দাঁড়াবে ৩.৮ ট্রিলিয়ন ডলার
একটি বছর শুরু হলো। গত বছরের রেশ ধরে কেমন যাবে নতুন বছর তা জানতে সবাই আগ্রহী। ২০১৪ সালে প্রযুক্তিজগতে বেশ পরিবর্তন এসেছে। অনেকে বছরটিকে ভিত্তি বছর হিসাব উল্লেখ করেছেন। অর্থাৎ ২০১৪ সালে প্রযুক্তিজগতে যে ধারা শুরু হয়েছিল, তারই উন্নয়ন হতে থাকবে আসন্ন বছরগুলোতে। গত বছরটির ধারা ছিল মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট অব থিংস, সামাজিক যোগাযোগ, বিগ ডেটা এবং ক্লাউড প্রযুক্তির সমন্বয়ে ‘থার্ড প্ল্যাটফর্ম’-এর উন্নয়ন। ইন্টারন্যাশনাল ডেটা করপোরেশন (আইডিসি) আগের বছরের ধারা মাথায় রেখে নতুন বছর কেমন যাবে তার ওপর অনুমাননির্ভর দিকনির্দেশনা প্রণয়ন করে। এবারও করেছে। আর এতে বিগত বছরটির প্রভাব বেশ ভালোই দেখা যায়। বলা হয়েছে, ২০১৫ সালজুড়ে থার্ড প্ল্যাটফর্ম আরও পরিণত পর্যায়ে যাবে। বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মীদের কাজের সমন্বয়ের জন্য অ্যামাজনের ক্লাউড সেবা গ্রহণ করবে।
অপরদিকে বলা হয়েছে, চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। তারা অন্যের হয়ে না, বরং নিজ নামে বিশ্বব্যাপী কার্যক্রম শুরু করবে। আইডিসির প্রতিবেদনে ২০১৫ সালে প্রযুক্তিজগতের উল্লেখযোগ্য ১০টি ধারার কথা বলা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, নতুন প্রযুক্তিপণ্যে বাজার ছেয়ে যাবে। বিশ্বব্যাপী তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি খাতে খরচ বেড়ে দাঁড়াবে ৩.৮ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে, যার সিংহভাগ খরচ হবে থার্ড প্ল্যাটফর্মের উন্নয়নে। টেলিযোগাযোগে তারহীন যোগাযোগপ্রযুক্তির উন্নয়ন প্রাধান্য পাবে। এই খাতে খরচ যেমন বাড়বে, তেমনই দ্রুত গতিতে উন্নয়ন হবে।
স্মার্টফোন কিংবা ট্যাবলেটের বিক্রি বাড়লেও সে হার হবে মন্থর। অপরদিকে ফ্যাবলেটের (ফোন ও ট্যাবলেটের সমন্বিত রূপ) ব্যবহার বেড়ে যাবে ৬০ শতাংশ।
ক্লাউড ব্যবস্থায় বড়সড় পরিবর্তন আসবে। বাজার দখলের জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অংশীদারের হার বেড়ে যাবে। তবে অ্যামাজনের রাজত্ব বজায় থাকবে।
তথ্যের সমন্বয় ও তথ্য ব্যবস্থাপনা কঠিন হয়ে পড়বে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নতুন প্রযুক্তির প্রচলন হবে।
ইন্টারনেট অব থিংসের (আইওটি) পেছনে খরচ ২০১৪ সালের তুলনায় ১৪ শতাংশ বেড়ে যাবে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তির বাইরেও অনেক কিছু আইওটিতে যুক্ত হবে। ক্লাউড সেবার ব্যবহার বাড়বে। ডেটা সেন্টার হিসেবে সবাই ক্লাউড বেছে নেবে। স্মার্ট যন্ত্রগুলোর তথ্যের নিরাপত্তা বিশেষ গুরুত্ব পাবে। থ্রিডি প্রিন্টিংয়ের প্রচলন বাড়বে। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি খাতে বিশ্বব্যাপী চীনা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রভাব আরও বেড়ে যাবে। মোবাইল বৃদ্ধির হারের ১৫ শতাংশ থাকবে চীনা প্রতিষ্ঠানগুলোর দখলে।
—ফোর্বস অবলম্বনে মেহেদী হাসান