মুঠোফোন ব্যবহারে সচেতনতার বিকল্প নেই

মুঠোফোন ব্যবহারে সচেতনতার বিকল্প নেই।
মুঠোফোন ব্যবহারে সচেতনতার বিকল্প নেই।

মুঠোফোন ও এর টাওয়ারের ইলেকট্রোম্যাগনেটিক বিকিরণের ফলে স্মরণশক্তি লোপ, ঘুমের ব্যাঘাত, মাথাব্যথা, অবসাদ, স্নায়ুুবৈকল্যসহ নানা সমস্যা হতে পারে। এ জন্য মুঠোফোন ব্যবহারে সচেতনতার বিকল্প নেই।
আজ শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) আয়োজিত ‘মোবাইল ফোন ও মোবাইল টাওয়ার: পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের ওপর এর প্রভাব’  শীর্ষক সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়।
সেমিনারে উদরাময় গবেষণা কেন্দ্রের (আইসিডিডিআরবি) জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী মুনিরুল আলম দাবি করেন, মোবাইল ফোন ও এর টাওয়ারের ইলেকট্রোম্যাগনেটিক বিকিরণ মানুষের মগজের মধ্যে ঢুকে ডিএনএ ভেঙে গুরুতর ক্ষতিসাধন করতে পারে। বড়দের বেলায় এই বিকিরণ মগজের দুই ইঞ্চি পর্যন্ত ঢুকে যেতে পারে। এমনকি এই বিকিরণ গর্ভের শিশুরও মগজ নষ্ট করে দিতে পারে। এতে জন্ম নিতে পারে বিকলাঙ্গ শিশু।
মুনিরুল আলমের দাবি, এই বিকিরণ অন্যান্য জীবজন্তু ও উদ্ভিদের জন্যও ক্ষতিকর। রং-বেরঙের প্রজাপতি, মৌমাছি, কীটপতঙ্গ ও চড়ুইয়ের মতো পাখি এই বিকিরণের ফলে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। বিকিরণের ফলে নারকেল, পেয়ারা ও আমের মতো ফলের ওপরও গুরুতর প্রভাব পড়ছে।

এই বিকিরণের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার বিষয়ে মুনিরুল আলম বলেন, এ ব্যাপারে আরও গবেষণা দরকার। তবে এর আগ পর্যন্ত সচেতনভাবে এগুলো ব্যবহার করার তাগিদ দেন তিনি। অর্থাত্, এগুলো যত কম ব্যবহার করা যায়, ততই ভালো। মুঠোফোনের টাওয়ারগুলো মানুষের বসবাসের স্থান থেকে নিরাপদ দূরত্বে স্থাপন করার পরামর্শ দেন তিনি। 

সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন বাপার সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল মতিন ও লেনিন চৌধুরী।