টেক-মাতারা

অ্যাডা লাভলেস
অ্যাডা লাভলেস

তাঁদের বলা হয় ‘মাদার অব টেকনোলজি’। তথ্যপ্রযুক্তির বিভিন্ন উদ্ভাবনে, আবিষ্কারে তাঁরা রেখেছেন অসামান্য অবদান। আধুনিক প্রযুক্তির ১০ পথিকৃৎ নারীর পরিচয় জানাচ্ছেন নাসির খান। সূত্র: বিজটেক ম্যাগাজিন ডটকম

অ্যাডা লাভলেস
(১০ ডিসেম্বর ১৮১৫—২৭ নভেম্বর ১৮৫২)
অ্যাডা লাভলেস বিশ্বের প্রথম প্রোগ্রামার হিসেবে পরিচিত। চার্লস ব্যাবেজের নকশা করা প্রথম যান্ত্রিক কম্পিউটার অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিনের জন্য অ্যালগরিদম তৈরি করেছিলেন ইংরেজ কবি লর্ড বায়রনের কন্যা অ্যাডা লাভলেস। গাণিতিকভাবে কম্পিউটারের মাধ্যমে যেন বিভিন্ন কাজ করা যায়, সে জন্য অ্যালগরিদম তৈরি করেছিলেন অ্যাডা।

গ্রেস হপার
(৯ ডিসেম্বর ১৯০৬—১ জানুয়ারি ১৯৯২)

‘সফটওয়্যারের রানি’ হিসেবে পরিচিত মার্কিন নৌবাহিনীর রিয়ার অ্যাডমিরাল জেনারেল গ্রেস হপার প্রথম দিকের বেশ কিছু প্রোগ্রামিং ভাষা উদ্ভাবন করেছিলেন। কোবল উদ্ভাবনের জন্য তিনি বিশেষ খ্যাতি পান।

.
.

হেডি ল্যামার
(৯ নভেম্বর ১৯১৪—১৯ জানুয়ারি ২০০০)
১৯২০ সালে একজন তারকা অভিনেত্রী হিসেবে পরিচিত হেডি ল্যামার তারহীন যোগযোগপ্রযুক্তিতে বিশেষ অবদান রেখেছেন। বিভিন্ন কম্পাঙ্ক-চ্যানেলে বেতারতরঙ্গ প্রেরণের এক বিশেষ ব্যবস্থা ‘ফ্রিকোয়েন্সি হপিং’-এর একটি পদ্ধতি সেপ্রড-স্পেকট্রাম উদ্ভাবনে মূল ভূমিকা পালন করেন তিনি। বর্তমানের এনক্রিপশনের আদি রূপ ছিল এটি। আর এর ওপর ভিত্তি করেই ব্লুটুথের মতো প্রযুক্তি তৈরি করা হয়েছে।

এরনা হুভার
(১৯ জুন ১৯২৬—)

কল ড্রপ ও সিগন্যাল ব্যস্ত থাকা আমাদের সবার কাছেই একটি পরিচিত ব্যাপার। এটা কমাতে এরনা হুভার বেল ল্যাবরেটরিতে টেলিফোন সুইচ করার একটি বিশেষ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেন, যা ব্যস্ত নেটওয়ার্কগুলো পরিচালনায় বিশেষ সহায়তা করে।

.
.

বারবারা লিসকভ
(৭ নভেম্বর ১৯৩৯—)
বারবারা হলেন প্রথম নারী, যিনি কম্পিউটার বিজ্ঞানে পিএইচডি করেন। সিএলইউ নামের একটি প্রোগ্রামিং ভাষা তৈরি করেন, যা অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিংয়ের মূল ভিত্তি। পরে তিনি ‘থর’ নামের একটি অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড ডেটাবেইস সিস্টেম তৈরি করেছিলেন। এ উদ্ভাবনের ওপর ভিত্তি করেই পরে ম্যাক ওএস, অবজেকটিভ সি, ভিজ্যুয়াল বেসিক ডটনেট ইত্যাদি উদ্ভাবিত হয়।

রেডিয়া পার্লম্যান
(১৯৫১—)

নেটওয়ার্ক প্রকৌশলী রেডিয়া উদ্ভাবন করেন স্প্যানিং ট্রি প্রটোকল (এসটিপি) প্রযুক্তি। নেটওয়ার্ক সুইচ তৈরিতে এ উদ্ভাবন পালন করে বিশেষ এক ভূমিকা।

রবার্তা উইলিয়ামস
(১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৩—)
একটা সময় কম্পিউটারে অ্যাডভেঞ্চার গেম ছিল জনপ্রিয়তার শীর্ষে। রবার্তা এ ধরনের গেম প্রথম তৈরি করেন এবং জনপ্রিয় করে তুলতে সহায়তা করেন। জটিল ধাঁধা ও নির্দিষ্ট কাহিনির ওপর ভিত্তি করে তৈরি গেমগুলো পরে অন্য গেম তৈরিতেও বিশেষ ভূমিকা রাখে।

সুসান ক্যারে
সুসান ক্যারে

সুসান ক্যারে
(৬ এপ্রিল ১৯৫৪—)
অ্যাপল কম্পিউটারে টাইপোগ্রাফি এবং প্রতীকনির্ভর (আইকনিক) গ্রাফিক তৈরি করে পরিচিতি পান সুসান কারে। স্টিভ জবসের সঙ্গে কাজ করার সময় তিনি অ্যাপল ইন্টারফেসের এমন কিছু নকশা করেন, যা এখনো ম্যাকিেন্টাশ কম্পিউটারে ব্যবহার করা হয়। ১৯৮০ সালের মধ্যবর্তী সময়ে যখন জবসকে অ্যাপল থেকে বের করে দেওয়া হয়, তখন সুসান মাইক্রোসফটে যোগ দেন। তাঁর ডিজাইনের দক্ষতা উইন্ডোজ ৩.০ অপারেটিং সিস্টেমের ইন্টারফেস তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

ম্যারি লোও জেপসেন
(১৯৬৫—)
মূলত মনিটরের ছোট আকারের পর্দা নিয়ে গবেষণা শুরু করেন ম্যারি। পরে ইন্টেলের ডিসপ্লে­ বিভাগের প্রধান হিসেবে কাজ করেন। প্রত্যেক ‘শিশুর জন্য এক ল্যাপটপ’ প্রকল্পের সহপ্রতিষ্ঠাতা তিনি।

মারিসা মেয়ার
(৩০ মে ১৯৭৫—)
মারিসা গুগলের প্রথম নারী কর্মী। আরও নির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে, তিনি গুগলের ২০তম কর্মী। তিনি গুগল ম্যাপ, গুগল লোকাল সার্চ, গুগল আর্থ, স্ট্রিটভিউয়ের মতো প্রকল্পের ব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করেছেন। ২০১২ সালে তিনি যোগ দেন আরেক সার্চ ইঞ্জিন ইয়াহুতে। বর্তমানে ইয়াহুর তিনি প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। তাঁর নেতৃত্বে ইয়াহুর পালে লেগেছে নতুন হাওয়া।