ভূমিকম্প-পরবর্তী ভূমিধসের ঝুঁকি মোকাবলায় গুরুত্ব

নেপালে ভয়াবহ ভূমিকম্পে এরই মধ্যে প্রায় চার হাজার লোকের প্রাণহানি ঘটেছে। এ মুহূর্তে লোকজনকে উদ্ধারের ওপরেই নজর দেওয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে আগামী দিনগুলোয় জরুরি নজর দিতে হবে ভূমিধস রোধ ও ব্যবস্থাপনার ওপর জোর দেওয়া। তা না হলে ঘটতে পারে আরও হাজারো মানুষের প্রাণহানি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন একটা বড় ধরনের ভূমিকম্পের পর সম্ভাব্য যে ভূমিধস হতে পারে, সেটা ভূমিকম্পের মতোই প্রাণঘাতী হতে পারে। যুক্তরাজ্যের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিধস বিশেষজ্ঞ ও ভূমিকম্পবিষয়ক বৈশ্বিক সংগঠন আর্থকোয়াক উইদাউট ফ্রিন্টয়ার্স-এর সদস্য আলেক্স ডেনসমোর বলেন, ‘আমরা এখনো আসল স্থানগুলোর খবরই শুনতে পারিনি। আমি আশঙ্কা করছি, একের পর একে ভূমিধস ঘটেছে, যা রাস্তাগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। এসব ভূমিধস প্রত্যন্ত উপত্যকাটির কিছু এলাকায় আসল ক্ষয়ক্ষতি করেছে।’
গবেষক ডেনসমোর ও তাঁর সহযোগীরা এই মুহূর্তে ভূমিকম্পে নেপালের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার স্যাটেলাইট চিত্র জড়ো করতে ব্যস্ত। এর মাধ্যমে তাঁরা বড় আকারের ভূমিকম্পের ঘটনাগুলো শনাক্ত করার চেষ্টা করছেন। সূত্র: নিউ সায়েন্টিস্ট।