জিডিজি সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রশংসিত

জিডিজি সামিটে বাংলাদেশের অবদানকে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয় l ছবি: প্রথম আলো
জিডিজি সামিটে বাংলাদেশের অবদানকে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয় l ছবি: প্রথম আলো

গুগলের যান্ত্রিক অনুবাদ সেবা ‘গুগল ট্রান্সলেটে’ মাতৃভাষার জন্য সবচেয়ে বেশি অবদান রেখে নজির সৃষ্টি করেছে বাংলাদেশ। ইন্টারনেটে নিজের ভাষাকে সমৃদ্ধ করতে বাংলাদেশের এই উদাহরণ থেকে সারা পৃথিবীর শেখার আছে বলে জানিয়েছেন গুগল ট্রান্সলেট কমিউনিটির প্রোগ্রাম ম্যানেজার স্ভিদা কালম্যান। গত মঙ্গলবার যুক্তরাস্ট্রের সিলিকন ভ্যালির মাউন্টেন ভিউয়ে গুগল ক্যাম্পাসের কম্পিউটার হিস্ট্রি মিউজিয়ামে উদ্বোধন করা হয় দুই দিনের জিডিজি (গুগল ডেভেলপারস গ্রুপ) গ্লোবাল সামিট।
জিডিজির এই সম্মেলনের নির্ধারিত প্রথম আলোচনায় বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করা হয়। এতে গুগল অনুবাদে বাংলা ভাষাকে সমৃদ্ধ করতে গত ২৬ মার্চ সারা দেশে জিডিজি বাংলার আয়োজনে ‘বাংলার জন্য চার লাখ’ কর্মসূচির বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয় ওই দিন বাংলার জন্য অনুবাদসংখ্যা ছিল সাত লাখের বেশি। আগামী ৫ জুনের মধ্যে বাংলাদেশের এই রেকর্ড ভাঙতে পারলে বিশেষ পুরস্কারের ঘোষণাও দেওয়া হয় সম্মেলনে। নজিরবিহীন এই অবদানের জন্য বিশেষভাবে প্রশংসিত হয় বাংলাদেশ।
জিডিজি সম্মেলনে এ বছর ১০০টির বেশি দেশ থেকে প্রায় ৪০০ জিডিজির কমিউনিটি ম্যানেজার অংশ নিচ্ছেন। বাংলাদেশ থেকে জিডিজি বাংলার দুই কমিউনিটিসহ মোট পাঁচজন এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করছেন।
সম্মেলনের প্রথম দিনে গুগল ট্রান্সলেট দল ছাড়াও গুগল ডেভেলপার এক্সপার্ট প্রোগ্রাম, গুগল এডুকেশন প্রোগ্রাম, গিটবুক, কনটেন্ট ডেভেলপমেন্ট, গুগল লঞ্চপ্যাড ইত্যািদ নিয়ে আলোচনা করা হয়। সবার জন্য ছিল পারস্পরিক যোগাযোগের বিশেষ কর্মশালা।
সম্মেলনের দ্বিতীয় ও শেষ দিন গতকাল বুধবারে গুগলের বিভিন্ন প্রযুক্তি নিয়ে ২৬টি বিষয়ের ওপর আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জিডিজি সম্মেলনের পর আজ ও কাল সান ফ্রান্সিসকোতে হবে গুগলের বার্ষিক সম্মেলন গুগল আইও। এ সম্মেলন থেকে গুগলের নতুন কোনো প্রযুক্তির ঘোষণা আসতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
জাবেদ সুলতান, মাউন্টেন ভিউ (যুক্তরাষ্ট্র) থেকে