আসছে ম্যাড ম্যাক্স

.
.

পারমাণবিক যুদ্ধ আর দুর্যোগের ফলে অদূর ভবিষ্যতের পৃথিবীতে প্রকৃতি প্রায় বিলীন। পৃথিবী বিশাল এক মরুভূমি। মানুষ থেকে শুরু করে পশুপাখি—সবার আকৃতিতে বিস্তর পরিবর্তন। মরুভূমির কর্তাদের হাতে এখন পানি আর জ্বালানি নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা। ইম্মরটান জো এমনই একজন ক্ষমতাধর কর্তা। তাঁর অধীনে থাকা শিশুরা নানা কুসংস্কারে বড় হয়। তাঁর (কর্তার) সেবা এবং তাঁর জন্য যুদ্ধে জীবন দান করলেই বাকি সময় তাঁরা স্বর্গসুখ লাভ করবে বলে তাঁদের প্রতিনিয়ত ধোঁকার মধ্যে রাখা হয়। এমন গল্প দেখা যায় ম্যাড ম্যাক্স সিনেমায়। জনপ্রিয় এই অস্ট্রেলীয় অ্যাকশন ছবিটি নিয়ে ম্যাড ম্যাক্স সিরিজের প্রথম গেম বাজারে আসে ১৯৯০ সালে। গেমটি বাজার খুব একটা মাত না করলেও এই সিরিজের পরের গেমের ট্রেইলার কিন্তু বলছে অ্যাকশন আর অ্যাডভেঞ্চারধর্মী ম্যাড ম্যাক্স এবার গেমারদের ভালোই মাতাবে।
আভালামচে স্টুডিওর নির্মাতারা জানিয়েছেন, ম্যাক্সের প্রিয় গাড়ি ভি-৮ ইন্টারসেপ্টার চুরি হওয়ার মধ্য দিয়ে গেমটির গল্প শুরু হবে। ম্যাক্সের প্রিয় গাড়িটি ফিরিয়ে আনতে তাই জলদি কাজে নেমে পড়তে হবে। গাড়ি ফিরিয়ে আনতে মরিয়া ম্যাক্স চামবাকেট দলের প্রধানের সঙ্গে দেখা করে তাঁর দলে যোগদানের মাধ্যমে ম্যাগনাম নামের গাড়ি পাবে। শুরু হবে হন্যে হয়ে ম্যাক্সের গাড়ি খোঁজার মিশন। গ্যাসটাউনে যাওয়ার পথে ম্যাক্স ‘দ্য জো’-এর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়াবে। জোকে মারার মাধ্যমে ম্যাক্স ট্যালন নামক একটি অস্ত্র পাবে।
বাড়বে টপ ডগের সঙ্গে তার শত্রুতা। শত্রু থেকে বন্ধু সবার সঙ্গে যুদ্ধশেষে ম্যাক্স পৌঁছে যাবে তার কাঙ্ক্ষিত জায়গায়। নির্মাতারা জানাচ্ছেন, ম্যাড ম্যাক্স সিনেমার ম্যাক্স আর গেমের ম্যাক্সের চেহারার মিল নেই বললেই চলে। তবে গেমসে ম্যাক্সের নতুন চেহারার সঙ্গে সঙ্গে ম্যাক্সের গাড়িগুলোও আপনার মন মাতাতে প্রস্তুত। গেমে আপনি চাইলেই নিজের মতো করে গাড়ি সাজাতে পারবেন বা নতুন ডিজাইন করতে পারবেন আপনার গাড়িগুলোকে।
গেমসে যেহেতু গাড়ি নিয়েই ম্যাক্সকে টপ ডগের লোকেদের সঙ্গে বেশি মারামারি করতে হবে, তাই আপনার গাড়ি যথেষ্ট মজবুত হতে হবে কিন্তু! থাকছে গাড়ির মধ্যেই প্রয়োজনীয় সব অস্ত্র। গেমটিতে গেমাররা নিজেদের মতো করে অনেক জায়গায় ঘুরে বেড়াতে পারবেন।
‘ফিজিক্স’ ইঞ্জিন ব্যবহারের ফলে গেমটি খেলতে একবারও মনে হবে না আপনি আশির দশকের রাস্তায় আছেন। গাড়ি থেকেই যুদ্ধ, গাড়ি নিয়ে মারামারি, গাড়ি থেকেই নিজের বুদ্ধি আর কৌশল রপ্ত করে আপনিও হয়ে যান ম্যাড ম্যাক্স। কম্পিউটার, এক্সবক্স ওয়ান, প্লেস্টেশন-ফোরের জন্য গেমসটি ওয়ার্নার ব্রাদারস ইন্টারঅ্যাকটিভ আগামী সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বাজারে ছাড়বে।
যা লাগবে
প্রসেসর: ইন্টেল কোর আই৫-৭৫০ ২.৬৬ গিগাহার্টজ অথবা এএমডি ফেনোম ২ এক্স৪ ৯৭০
গ্রাফিকস: জিফোর্স জিটিএক্স ৪৮০
র্যা ম: ৬ গিগাবাইট
অপারেটিং সিস্টেম: উইন্ডোজ ৭
(৬৪ বিট)
ডাইরেক্ট এক্স: ১১
হার্ডডিস্ক ড্রাইভ: ৪০ গিগাবাইট খালি জায়গা