লেজার দিয়ে দ্রুতগতির ইন্টারনেট দেবে ফেসবুক

ড্রোনের সাহায্যে লেজার বিম করে ইন্টারনেট ডট অর্গ প্রকল্পের জন্য ইন্টারনেট সুবিধা দেবে ফেসবুক।
ড্রোনের সাহায্যে লেজার বিম করে ইন্টারনেট ডট অর্গ প্রকল্পের জন্য ইন্টারনেট সুবিধা দেবে ফেসবুক।

ড্রোন বা কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে লেজার রশ্মি নিক্ষেপের মাধ্যমে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা দেবে ফেসবুক। টেলিকম অপারেটরের বিকল্প যোগাযোগ ব্যবস্থা হতে পারে ফেসবুকের এই ইন্টারনেট সেবা। খবর পিটিআইয়ের।

ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ ফেসবুকে বলেন, ‘আমাদের যোগাযোগ পরীক্ষাগারে (কানেক্টিভিটি ল্যাবে) একটি লেজার-ভিত্তিক যোগাযোগ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়েছে। আকাশ থেকে এই পদ্ধতিতে বিভিন্ন এলাকায় তথ্য সরবরাহ করা যায়। এতে অনেক দূর পর্যন্ত দ্রুতগতিতে তথ্য পাঠানো সম্ভব।’
বর্তমানে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ কৃত্রিম উপগ্রহ (স্যাটেলাইট) ও ড্রোনের মাধ্যমে (চালকবিহীন ছোট বিমান) প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেট সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে। এ জন্য নানা প্রযুক্তি উদ্ভাবনেও কাজ করছে ক্যালিফোর্নিয়া-ভিত্তিক বিশ্বের বৃহত্তম সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট।
মার্ক জাকারবার্গ বলেন, ‘আমাদের ইন্টারনেট ডট ওআরজি প্রকল্পের জন্য ড্রোন ও স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট সুবিধা দেওয়ার জন্য কাজ করছি। তারবিহীন নেটওয়ার্ক বা ইন্টারনেট সুবিধার বাইরে থাকা একশো কোটি মানুষকে আমরা সংযোগের আওতায় আনতে চাই। তবে যে লেজার দিয়ে এই ইন্টারনেট সুবিধা দেওয়া হবে, সেই লেজার চোখে দেখা যাবে না।’
বর্তমানে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন দেশে নির্বাচিত টেলিকম অপারেটরের সঙ্গে যৌথভাবে ইন্টারনেট ডট ওআরজি প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে। এই প্রকল্পের আওতায় উন্নয়নশীল দেশগুলোতে মোবাইল ইন্টারনেটের চার্জ ছাড়া নির্দিষ্ট কয়েকটি ওয়েবসাইটে যেতে পারেন ব্যবহারকারীরা। সম্প্রতি বাংলাদেশে রবির নেটওয়ার্কে ইন্টারনেট ডট ওআরজি প্রকল্প চালু করেছে ফেসবুক।
বর্তমানে মোবাইল মেসেজিং ও কলিং সুবিধার অ্যাপ্লিকেশন জনপ্রিয় অ্যাপ্লিকেশন হোয়াটসঅ্যাপেরও মালিক ফেসবুক। ওভার দ্য টপ (ওটিটি) সেবার ক্ষেত্রে হোয়াটসঅ্যাপ শীর্ষে। টেলিকম অপারেটররা এই ওটিটি সেবাদাতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলছে, টেলিকম অপারেটরদের মূল লাভের বেশির ভাগই খেয়ে ফেলছে বিনা মূল্যের এই মেসেজিং অ্যাপগুলো। অথচ টেলিকম অবকাঠামো তৈরির ও ইন্টারনেট সেবা দিতে যে অবকাঠামো দরকার সবই খবর করছে অপারেটরগুলো।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, বিকল্প যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি হলে হোয়াটসঅ্যাপের মতো ওটিটি সেবাগুলোর আর প্রচলিত টেলিকম অপারেটরের প্রয়োজন হবে না।
জাকারবার্গ বলছেন, ‘আমরা দারুণ একটি যোগাযোগ পদ্ধতি নিয়ে কাজ করছি, যা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার না করে পারলাম না।’