বাংলায় খান একাডেমির শিক্ষা দেওয়ার উদ্যোগ

ভিডিওভিত্তিক দূরশিক্ষণ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান খান একাডেমির শিক্ষা উপকরণ বাংলা ভাষায় রূপান্তরে সহায়তা করবে মুঠোফোন সংযোগদাতা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। ‘লোকালাইজিং খান একাডেমি’ শীর্ষক উদ্যোগের আওতায় গ্রামীণফোন ‘আগামী এডুকেশন ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ’ এবং ‘আগামী ইনকরপোরেটেড যুক্তরাষ্ট্র’-এর সহযোগিতায় খান একাডেমির বাংলা সাইট চালু করবে।

অনুষ্ঠানে এ সময় গ্রামীণফোনের এক্সটার্নাল কমিউনিকেশনসের প্রধান সৈয়দ তালাত কামাল বলেন, ‘গ্রামীণফোন সবার জন্য ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি সব সময় শিক্ষার সঙ্গে সংযোগ সৃষ্টি করার নিরন্তর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। আমাদের বিশ্বাস, মানসম্মত শিক্ষা উপকরণ সবার কাছে পৌঁছে দেওয়ার আদর্শ মাধ্যম হচ্ছে ইন্টারনেট। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের যেকোনো শিক্ষক বা শিক্ষার্থী যেকোনো জায়গা থেকে শিক্ষা লাভ করতে পারবেন।’
আগামী এডুকেশন ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের পরিচালক (কর্মসূচি) দিলরুবা চৌধুরী বলেন, ‘আমরা মূলত সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য কাজ করে থাকি। উন্নত মানের শিক্ষা সব জায়গায় পৌঁছে দিতে আগামী ছয় মাসের মধ্যে আমরা খান একাডেমির ওয়েবসাইটটি পুরোপুরি বাংলা করার উদ্যোগ নিয়েছি। খুব সহজেই আমাদের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা খান একাডেমির শিক্ষা উপকরণ ব্যবহার করতে পারবেন।’
গ্রামীণফোনের করপোরেট রেসপনসিবিলিটি প্রধান দেবাশীষ রায় বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস, খান একাডেমির উপকরণ বাংলায় স্থানীয়করণ এবং স্থানীয় পাঠ্যসূচি অনুযায়ী বিন্যস্ত করলে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এটা ব্যবহার করতে পারবে। ফলে ইন্টারনেটে বাংলা শিক্ষা উপকরণের পরিমাণও বাড়বে। এটা আমাদের অলাভজনক একটি উদ্যোগ। খান একাডেমিকে বাংলায় রূপান্তরিত করার সব ধরনের খরচ গ্রামীণফোন আগামীকে দেবে।’
ব্যবহার কারর ক্ষেত্রে গ্রামীণফোন ইন্টারনেট ডেটা খরচ নেবে কি না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে দেবাশীষ রায় বলেন, ‘এখন এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। তবে এখনো সময় আছে, আমরা এ বিষয় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০১১ সাল থেকে আগামী ফাউন্ডেশন খান একাডেমির সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে বিশ্বব্যাপী বাংলা ভাষাভাষী মানুষের জন্য; বিশেষ করে বাংলাদেশের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য খান একাডেমির শিক্ষা উপকরণ পৌঁছে দিতে।
অনুষ্ঠানে খান একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সালমান খানের একটি ভিডিওবার্তা দেখানো হয়। তিনি আগামী ও গ্রামীণফোনকে ধন্যবাদ জানান।
উল্লেখ্য, ২০০৬ সাল থেকে সালমান খান যুক্তরাষ্ট্রে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান খান একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন। এর মূল লক্ষ্য সবার জন্য যেকোনো স্থানে বিনা মূল্যে বিশ্বমানের শিক্ষা নিশ্চিত করা। প্রতিষ্ঠানটি ইউটিউব ভিডিওর মাধ্যমে টিউটোরিয়াল পরিবেশন করে থাকে