পরবর্তী প্রজন্মের সিম বানাবে অ্যাপল-স্যামসাং

অ্যাপল ও স্যামসাং যৌথভাবে নতুন প্রজন্মের সিম কার্ড তৈরি করছে।
অ্যাপল ও স্যামসাং যৌথভাবে নতুন প্রজন্মের সিম কার্ড তৈরি করছে।

অ্যাপল ও স্যামসাংয়ের মধ্যে স্মার্টফোনের ব্যবসা নিয়ে যতই প্রতিদ্বন্দ্বিতাই থাকুক না কেন, সিম কার্ড সমস্যা সমাধানে এবার যৌথভাবেই মাঠে নামতে যাচ্ছে তারা। প্রচলিত সিমকার্ডের বদলে এবারে ভারচুয়াল সিম কার্ড নিয়ে পরিকল্পনা করছে এই দুই প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান।
এ বছরের শুরুতেই নেদারল্যান্ডসভিত্তিক সিম কার্ড নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জিমালটো হ্যাক হয়ে যাওয়ার পর সিম কার্ড প্রযুক্তি যে পুরোনো হয়ে গেছে সে বার্তাটি পরিষ্কার হয়। প্রায় এক দশকের বেশি সময় ধরে সিম কার্ডের একই প্রযুক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানের ওপর অধিক নির্ভরতার বিষয়টি অন্য প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলো বুঝতে পারে। তাই বৈরিতা ভুলে স্মার্টফোন বাজারের দুই শীর্ষ প্রতিষ্ঠান এবারে যৌথভাবে পরবর্তী প্রজন্মের সিম কার্ড তৈরি করতে যাচ্ছে।
অ্যাপল ও স্যামসাংয়ের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা স্মার্টফোনে ইলেকট্রনিক সিম কার্ড ব্যবহার নিয়ে আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। যুক্তরাজ্যের ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরবর্তী প্রজন্মের যে সিম কার্ড নিয়ে আলোচনা হচ্ছে তাতে ব্যবহারকারী খুব সহজে এক টেলিকম অপারেটর থেকে আরেক টেলিকম অপারেটরে যেতে পারবেন। এ ছাড়াও সিমের নিরাপত্তার বিষয়টিকেও গুরুত্ব দেবে নির্মাতারা।
মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন জিএসএমএ দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান স্যামসাং ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা অ্যাপলের মধ্যে চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। জিএসএমএ ঘোষণা দিয়েছে, নতুন সিম কার্ডের মানদণ্ড কী হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত চুক্তির বিষয়টি ঘোষণা দেওয়া হবে। তবে এ বছরেই নতুন সিম কার্ড আশা না করাই ভালো। আগামী বছর নাগাদ নতুন সিম কার্ড বাজারে আসতে পারে। 

অবশ্য শুরুতে খুব বেশি মোবাইল অপারেটর এই সিম সুবিধা পাচ্ছে না। ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের কিছু নেটওয়ার্ক সেবাদাতা এই সিম সমর্থন করবে। এর মধ্যে রয়েছে এটিঅ্যান্ডটি, ডয়চে টেলিকম, ইতিসালাত, হাচিসন হোয়ামপোয়া, অরেঞ্জ, টেলিফোনিকা ও ভোডাফোন। এই প্রতিষ্ঠানগুলো একই অবকাঠামো ব্যবহারের জন্য একটি চুক্তি করতে যাচ্ছে।
জিএসএমএ-এর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অধিকাংশ অপারেটরে সম্মতিতে কারিগরি অবকাঠামোর দিকটা চূড়ান্ত করা হবে।