খুনি রোবটের বিরুদ্ধে বিজ্ঞানীরা এক জোট

কৃত্রিম বুদ্ধিমান রোবট
কৃত্রিম বুদ্ধিমান রোবট

ভবিষ্যতে হয়তো এমন কৃত্রিম বুদ্ধিমান রোবট তৈরি হবে যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে মানুষকেই খুন করবে। এ আশঙ্কা এখন আর চলচ্চিত্রের কোনো কাল্পনিক দৃশ্য নয়, এ এখন অনেকাংশেই বাস্তব। স্টিফেন হকিং, এলন মাস্ক, স্টিভ ওজনিয়াকের মতো বড় বড় বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদেরা এই ‘খুনি’ রোবট তৈরির বিপক্ষে দাঁড়িয়েছেন।

‘খুনি’ রোবট বিজ্ঞানীদের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুই হাজারের বেশি প্রযুক্তিবিদ, বিজ্ঞানী, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার গবেষক ও ১০ হাজারের বেশি সমর্থক ‘খুনি’ রোবট তৈরির বিরুদ্ধে প্রচারণা শুরু করেছেন।
ফিউচার অব দ্য লাইফ ইনস্টিটিউট নামের একটি সংগঠন বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক নেতা ও সরকারপ্রধানদের লক্ষ্য করে একটি খোলা চিঠি লিখেছে। এই চিঠিতে বলা হয়েছে, মানবতার কথা বিবেচনা করে, বিশ্বের সরকারপ্রধানদের স্বয়ংক্রিয় যুদ্ধাস্ত্র তৈরি বন্ধে একমত হওয়া প্রয়োজন। এই চিঠিতে বিখ্যাত ব্রিটিশ পদার্থবিজ্ঞানী হকিং, অ্যাপলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ওজনিয়াক, টেসলার প্রতিষ্ঠাতা এলন মাস্ক, গুগলের গবেষণা পরিচালক পিটার নরভিগের মতো ব্যক্তিদের সই রয়েছে।
চিঠিতে স্বয়ংক্রিয় যুদ্ধাস্ত্রের বর্ণনায় বলা হয়েছে, যে সব যন্ত্র মানুষের বুদ্ধিমত্তা ছাড়াই নির্দিষ্ট লক্ষ্য ঠিক করে কাজ সম্পন্ন করতে পারে সেগুলো এর আওতায় পড়বে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, একবার যদি কোনো দেশ খুনি রোবট তৈরি শুরু করে তখন অন্য দেশগুলোতেও তা ছড়িয়ে পড়বে। রোবটিক অস্ত্র হয়ে যাবে আগামী দিনের কালাশনিকভ রাইফেল। এ ধরনের রোবট চলে যাবে সন্ত্রাসী-উগ্রপন্থীদের হাতে। কৃত্রিম বুদ্ধিমান যন্ত্রের ব্যবহার শুধু ইতিবাচক কাজের জন্য তৈরি করা যেতে পারে।