ষাটে এসেও বিশ্বকে বদলে দিচ্ছেন গেটস

বিল গেটস। ছবি: রয়টার্স
বিল গেটস। ছবি: রয়টার্স

৬০ বছরে পা দিলেন বিল গেটস। আজ ২৮ অক্টোবর তাঁর জন্মদিন। টানা ২২ বছর ধরে বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত তিনি। এ ছাড়াও প্রযুক্তি বিশ্বে সবচেয়ে বিখ্যাত ব্যক্তিদের তিনি একজন। এই বিশ্বকে বদলে দিতে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
১৯৫৫ সালের ২৮ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন বিল গেটস। তাঁর মা-বাবা চেয়েছিলেন তাঁকে আইনজীবী বানাতে। ভাবুন তো, মাইক্রোসফট বিহীন একটি বিশ্বের কথা! ইতিমধ্যে বিশ্বের অনেক পরিবর্তন এসেছে বিল গেটসের হাত ধরে। মাইক্রোসফটের অপারেটিং সিস্টেম তৈরির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে কম্পিউটার এনে দিয়েছেন তিনি। এখন শুধু কম্পিউটার দিয়েই নয়, বিল গেটস নানা উপায়ে মানুষের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনতে কাজ করছেন।
বিশ্বের সবাইকে দিতে চান ইন্টারনেট সুবিধা
বিল গেটস চান বিশ্বের প্রতিটি মানুষ যেন ইন্টারনেট সুবিধার আওতায় আসে। এতে মানুষের মধ্যে বৈষম্য দূর হয়ে সমতা আসবে বলে মনে করেন তিনি।
২১ শতকে যে মানুষগুলো এখনো ইন্টারনেট সুবিধার বাইরে রয়েছে তাঁদের জন্য ইন্টারনেট নিশ্চিত করতে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ, শিল্পী বনোর মতো প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নিয়ে কাজ করছেন বিল গেটস। তাঁদের নিয়ে একটি ঘোষণাপত্রেও স্বাক্ষর করেছেন তিনি। এ ঘোষণায় বলা হয়েছে, ‘ইন্টারনেট হচ্ছে অবিচারের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য জরুরি। নতুন ধারণা বিনিময় ও উদ্যোক্তাদের নতুন কর্মক্ষেত্র তৈরির জন্য সহযোগিতার মাধ্যম।’

বৈশ্বিক উষ্ণতা সমস্যার সমাধান করতে চান
নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টর তৈরি ও কার্বন ট্যাক্স বসানোর মতো কার্যক্রমের মাধ্যমে বৈশ্বিক উষ্ণতা সমাধান করতে চান বিল গেটস। এ জন্য চীনের সঙ্গে কাজ শুরু করেছেন তিনি। ট্রাভেলিং ওয়েভ রিঅ্যাক্টর (টিডব্লিউআর) নামের রিঅ্যাক্টর তৈরির মাধ্যমে সাশ্রয়ী ও কম তেজস্ক্রিয়তার রিঅ্যাক্টর তৈরিতে এখন বিনিয়োগ করছেন গেটস।

লিঙ্গ বৈষম্য দূর করতে চান
সম্প্রতি মাতৃত্বকালীন ও পিতৃত্বকালীন ছুটির বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কিন্তু বিল গেটস লিঙ্গ বৈষম্য পছন্দ করেন না। বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের এক হাজার ৩৮২ কর্মীর জন্য মাতৃত্বকালীন ও পিতৃত্বকালীন ছুটি সমান করে দিয়েছেন। সবাই বেতন সমেত ছুটি কাটাতে পারবেন।

খাবারের ধরনে পরিবর্তন আনতে চান
বিল গেটস এখন খাবারের প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করছেন। সম্প্রতি ‘ইমপসিবল ফুডস’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করেছেন তিনি যাতে পশু থেকে পাওয়া কোনো উপাদান ব্যবহার করা হয় না। এই প্রতিষ্ঠানটি কোলেস্টরল, হরমোন বা অ্যান্টিবায়োটিকমুক্ত মাংস বা পনির তৈরিতে কাজ করবে।

সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন
বিশ্বের প্রথম ম্যালেরিয়া টিকা উদ্ভাবনে অবদান রেখেছেন বিল গেটস। আফ্রিকায় এ টিকা এখন ব্যবহারে সবুজ সংকেত পাওয়া গেছে। এ ছাড়াও মসকুয়িরিক্স নামের টিকা তৈরিতেও কাজ করছেন তিনি। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে পোলিও নির্মূলেও সাহায্য করে যাচ্ছেন তিনি।