আগামী প্রজন্মের জন্য সিটিআইটি মেলা

মেলায় এসে ক্রেতারা পণ্যের ব্যাপারে খোঁজ নিচ্ছেন l খালেদ সরকার
মেলায় এসে ক্রেতারা পণ্যের ব্যাপারে খোঁজ নিচ্ছেন l খালেদ সরকার

ওপর থেকে নেমে আসছে একটি মহাকাশযান। মাটি স্পর্শ করার পরপরই সেটি থেকে বেরিয়ে এল ভিনগ্রহের মানুষ (এলিয়েন) সদৃশ একজন। এর পরপরই শুরু হয়ে গেল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে দেশের সবচেয়ে বড় কম্পিউটার বাজার বিসিএস কম্পিউটার সিটির বার্ষিক মেলা ‘সিটিআইটি ২০১৬’। গতকাল সোমবার বিকেলে এই অভিনব কায়দায় উদ্বোধন করা হয় মেলার। আগামী প্রজন্ম অর্থাৎ শিশুরা যাতে ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠে, সে চিন্তা করে সাজানো হয়েছে এবারের মেলা।

মেলার উদ্বোধনী বক্তৃতায় তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ বলেন, ‘এই মেলা জ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক মেলা। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে আমাদের যে পরিকল্পনা, তাতে এ ধরনের আয়োজন আমাদের সহায়কস্বরূপ।’
অনুষ্ঠানে আনন্দ কম্পিউটার্সের প্রধান নির্বাহী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘আমার স্বপ্ন ছিল শিশুদের মাঝে তথ্যপ্রযুক্তির শিক্ষা ছড়িয়ে দেওয়া। এই মেলার স্লোগান দেখে মনে হচ্ছে, আমার স্বপ্ন আজ পূর্ণ হয়েছে।’ অনুষ্ঠানে বিসিএস কম্পিউটার সিটির সভাপতি আহমেদ হাসান, সিটিআইটি মেলার সমন্বয়ক মুজিবুর রহমানসহ অনেকে বক্তৃতা করেন।
‘ডিজিটাল শিক্ষা শিশুদের অধিকার’ স্লোগান নিয়ে এবারের মেলায় শিশুদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। মেলায় কম্পিউটার সিটির ১৬৫টি দোকানেই কমবেশি নতুন প্রযুক্তিপণ্য আনা হয়েছে। কম্পিউটার সিটির নিচতলায় মেলা উপলক্ষে সাজানো হয়েছে মঞ্চ। এই মঞ্চে প্রতিদিনই থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এ ছাড়া আয়োজন করা হয়েছে ছবি আঁকা, গেম খেলা, ডিজিটাল আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা এবং রক্তদান কর্মসূচির।
সিটিআইটি-২০১৬-এর দর্শনার্থীদের জন্য রয়েছে এলিয়েন ও জাদু প্রদর্শনী। শিশুদের জন্য রয়েছে ভৌতিক সুড়ঙ্গে ঘোরার সুযোগ। খোলা হয়েছে ফেসবুক পেজ (www.facebook.com/BCSComputerCity)। মেলার সংবাদ প্রচার করতে ‘ডেডিকেটেডরেডিও’ নামক একটি অনলাইন রেডিও (cityit.fm) চালু করা হয়েছে।
মেলার টিকিটের দাম ১০ টাকা। তবে প্রতিবন্ধী ও স্কুলশিক্ষার্থীরা বিনা মূল্যে প্রবেশ করতে পারবে। মেলা সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রতিদিন খোলা থাকবে। মেলা আয়োজনে সহযোগিতা করছে এইচপি, আসুস, এসার, লেনেভো, গিগাবাইট, ডেল, হিটাচি, আরমাগার্ডেন ও ট্রেন্ড মাইক্রো।