যাত্রীবাহী বিমানে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির কার্গো পরিবহন নিষিদ্ধ

লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি
লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি

যাত্রীবাহী বিমানে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারিবাহী কার্গো পরিবহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গত সোমবার জাতিসংঘের বিমান পরিবহনের মান নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশন (আইসিএও) সর্বসম্মতিক্রমে এ বিষয়ে একমত হয়েছে। সংস্থাটি বলছে, এ ধরনের ব্যাটারিবাহী কার্গো বিমানের যাত্রীদের জন্য ভয়াবহ আগুনের হুমকি। আগামী ১ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে ২০১৮ সালে নতুন নীতিমালা অনুমোদন হওয়ার আগ পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
এক বিবৃতিতে আইসিএও কাউন্সিলের সভাপতি ওলামুইয়া বেনার্ড অ্যালিউ জানিয়েছেন, বিমানে ক্রু অথবা যাত্রীদের ল্যাপটপের কিংবা মোবাইল ফোনের লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে। বিমান এবং বিমানচালকদের সংগঠন নিরাপত্তার খাতিরে এমন নিষেধাজ্ঞার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি কারও জন্য বাধ্যতামূলক না হলেও অধিকাংশ দেশই এগুলো মেনে চলে। বেশ কয়েকটি বিমান পরিবহন সংস্থা ইতিমধ্যে নিজে থেকে ব্যাটারি পরিবহন বন্ধ করে দিয়েছে। এই মাসের শুরুর দিকে সব ধরনের যাত্রীবাহী বিমানের কার্গোতে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির ধ্বংসাত্মক বিস্ফোরণের ব্যাপারে সতর্ক করে দেয় যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ)। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের পণ্য যেমন ল্যাপটপ থেকে শুরু করে বৈদ্যুতিক গাড়িতে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি ব্যবহৃত হয়। এফএএর সাম্প্রতিক এক পরীক্ষায় দেখা গেছে, যাত্রীবাহী বিমানের অগ্নিনির্বাপণব্যবস্থা মোবাইল ফোন এবং ল্যাপটপের লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির কারণে সংঘটিত বিস্ফোরণ মোকাবিলায় যথেষ্ট প্রস্তুত নয়।
প্রসঙ্গত, লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির অতিমাত্রায় উত্তপ্ত হয়ে যাওয়ার দুটি গুরুতর ঘটনা ঘটেছিল ২০১৩ সালে। দুটিই ছিল বোয়িং-৭৮৭ ড্রিমলাইনার বিমানের ক্ষেত্রে। প্রথমটি হয়েছিল বোস্টনের একটি থেমে থাকা বিমানে। দ্বিতীয় বিমানটি জাপানের অল নিপ্পন বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণে বাধ্য হয়েছিল। যার ফলে পরের তিন মাস উড়তে দেওয়া হয়নি কোনো ড্রিমলাইন বিমানকে।
এএফপি অবলম্বনে দেব দুলাল গুহ