ব্র্যাকের মন্থন পুরস্কার পেল সাত বিভাগের ১৪ প্রকল্প

‘ব্র্যাক মন্থন ডিজিটাল ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড’-এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অতিথিদের সঙ্গে অংশগ্রহণকারীরা।
‘ব্র্যাক মন্থন ডিজিটাল ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড’-এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অতিথিদের সঙ্গে অংশগ্রহণকারীরা।

‘ব্র্যাক মন্থন ডিজিটাল ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড’-এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অতিথিদের সঙ্গে অংশগ্রহণকারীরা। ‘ব্র্যাক মন্থন ডিজিটাল ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড’ ঘোষণা করেছে ব্র্যাক। নয়টি বিভাগের মধ্যে সাতটিতে সেরা উদ্ভাবনীর পরিচয় দিয়ে পুরস্কার জিতেছেন দেশের উদ্যোক্তারা। উন্নয়নে প্রযুক্তির ব্যবহার এবং নতুন ডিজিটাল ও মোবাইল সেবা উদ্ভাবনকে স্বীকৃতি হিসেবে আজ শনিবার এ পুরস্কার দেওয়া হয়।

ব্র্যাকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবকদের জন্য ব্র্যাক এবং ভারতের ডিজিটাল এমপাওয়ারমেন্ট ফাউন্ডেশন যৌথভাবে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। ই-বিজনেস অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন, ই-এডুকেশন, লার্নিং অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট, ই-গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ইনস্টিটিউশনস, ই-এগ্রিকালচার অ্যান্ড ইকোলজিসহ নয়টি বিভাগে এই প্রতিযোগিতা হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ১৪টি প্রকল্প হলো: ই-বিজনেস অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশান ক্যাটাগরিতে হিউম্যাক ল্যাব লিমিটেডের সেলিস্কোপ প্রকল্প; ক্লাউড সলিউশন লিমিটেডের সিএসএল মোবাইল অ্যাকাউন্টস প্রকল্প; ই-এডুকেশন লার্নিং অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট ক্যাটাগরিতে রেপ্টো এডুকেশন সেন্টার, টেন মিনিট স্কুল এবং ইয়ুথ অপরচুনিটিজ; ই-এগ্রিকালচার অ্যান্ড ইকোলজি ক্যাটাগরিতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষকের জানালা-আপনার ফসলের সমস্যার সমাধান এখানেই প্রকল্প; ই-গভর্নেন্স অ্যান্ড ইনস্টিটিউশনস ক্যাটাগরিতে এনামেল বিডির ভ্যাট চেকার প্রকল্প এবং মাতিউরা ইউনিয়ন পরিষদ ডিজিটালাইজেশন প্রকল্প; ই-হেলথ ক্যাটাগরিতে আরএক্স সেভেনটি ওয়ান লিমিটেডের আরএক্স সেভেনটি ওয়ান প্রকল্প; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টেলিমেডিসিন প্রোগ্রাম রুরাল হেলথ কেয়ার ইউজিং ইনডিজিনিয়াসলি ডেভেলপড টেকনোলজি; ই-নিউজ, জার্নালিজম অ্যান্ড এন্টারটেইনমেন্ট ক্যাটাগরিতে সফটওয়্যার শপ লিমিটেডের ই-টিউনস প্রকল্প এবং প্যাভিলিয়নের প্রকল্প প্যাভিলিয়ন; ই-কালচার, হেরিটেজ অ্যান্ড টুরিজম ক্যাটাগরিতে আকালিকো রেকর্ডসের ট্রান্সলেশন-অ্যান ইলেকট্রনিক মিউজিক কমপাইলেশন বাই আকালিকো রেকর্ডস প্রকল্প এবং ভ্রমণ। দুইটি বিভাগে (এম-কনটেন্ট এবং ই-ওমেন, ইনক্লুশান অ্যান্ড এমপাওয়ারমেন্ট) আশানুরূপ ভালো না করায় কেউ পুরস্কার পাননি।

জমা হওয়া প্রকল্পগুলোর মূল্যায়নে চারটি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। এর মধ্যে ছিল বিষয়বস্তুর মান, সমাধানের প্রভাব, পণ্য বা সেবার কার্যকারিতা এবং পণ্য বা সেবা ব্যবহারে মানুষের উপকারিতা।

বিজয়ী উদ্ভাবনগুলোকে আরও ৩৫টি দেশের উদ্ভাবনের সঙ্গে প্রতিযোগিতার জন্য নির্বাচিত করা হবে। বিজয়ীরা বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সরাসরি ভারতের মন্থন অ্যাওয়ার্ডে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ বলেন, ‘আমাদের সৃজনশীল ও উদ্যমী তরুণেরাই বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের পতাকা সমুন্নত রাখছে। প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা পেলে প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনেও তারা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’

ব্র্যাকের এই উদ্যোগের সহযোগিতায় ছিল প্রথম আলো। এ ছাড়াও ডিজিটাল মিডিয়া সহযোগী ছিল ওয়েবেবল। চ্যানেল ২৪ টিভি মিডিয়া পার্টনার এবং এক্সিবিশন পার্টনার ছিল ফ্রেডরিক নোমেন ফাউন্ডেশন ফর ফ্রিডম।

গত ১০ এপ্রিল জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে নয়টি ক্যাটাগরিতে এই প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করা হয়। সারা দেশ থেকে ১১৩ জন প্রতিযোগী এতে আবেদন করেন। প্রকল্পগুলোর মূল্যায়ন করেন ১০ সদস্যের জুরিবোর্ড। তাঁরা চূড়ান্ত পর্যায়ে ২৯ জনকে মনোনয়ন দেন। জুরিবোর্ডে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পলিসি অ্যাডভাইজার আনির চৌধুরী, দোহাটেক নিউ মিডিয়ার চেয়ারম্যান লুনা শামসুদ্দোহা, প্রথম আলোর যুব কর্মসূচির সমন্বয়কারী মুনির হাসান, ব্র্যাকের পরিচালক কেএএম মোরশেদ প্রমুখ।