চার জেলায় কম্বল পেল ৫৬০ জন

চার জেলায় প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে শিশুসহ ৫৬০ জন শীতার্তকে কম্বল দেওয়া হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার পটুয়াখালী, পাবনা ও নড়াইলে এবং গতকাল শুক্রবার জামালপুর ও নড়াইলে এসব কম্বল বিতরণ করা হয়। কম্বল বিতরণে সহযোগিতা করেন প্রথম আলো বন্ধুসভার সদস্যরা।

আমাদের পাবনা অফিস; জামালপুর, বাউফল লোহাগড়া প্রতিনিধির পাঠানো খবর:

পটুয়াখালীর বাউফলে বৃহস্পতিবার পাঁচজন এতিম ও পাঁচজন প্রতিবন্ধী শিশু-শিক্ষার্থীকে কম্বল দেওয়া হয়। এ ছাড়া পশ্চিম বাউফল নুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১০০ শিক্ষার্থী ও পৌরসভার মুসলিমপাড়ার ১৫ শিশুকে কম্বল দেওয়া হয়। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মো. সোহেল রানা, পশ্চিম বাউফল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সারমিন সুলতানা ও সহকারী শিক্ষক আখতার ফারুক উপস্থিত ছিলেন।

শিশুসন্তান কম্বল পাওয়ায় নাজমা বেগম বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। শীতে পোলাপাইনের খুব কষ্ট অয়। তোরা অগোরে কম্বল দিছ, খুব ভালো হইছে। আল্লায় তোগো ভালো করবে।’

পাবনায় কম্বল পেয়েছেন সদর উপজেলার হিমাইতপুর ইউনিয়নের আশ্রয়ণ প্রকল্প, টাংকিপাড়া ও নিকেড়িপাড়ার ১২০ জন বাসিন্দা। সেখানে কম্বল দেওয়ার সময় স্থানীয় শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র তপোবন উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুর রহমান, সহকারী প্রধান শিক্ষক আবদুর রাজ্জাক, পাবনা বন্ধুসভার আনিকা তাসনিম, আনোয়ার হোসেন, মেহেদী হাসান, শাহাবুদ্দিন আহম্মেদ, রিয়াজ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

জামালপুর সদরের হাট চন্দ্রা এলাকার ঝিনাই নদীরপাড় অঞ্চল, বুখুঞ্জা, হাসিল, মানিকাবাড়ী, দিগাবাড়ী, কলতাপাড়া, বগাবাইদ ও বাগবাড়ী এলাকায় গতকাল ২০০ জনকে কম্বল দেওয়া হয়। কম্বল পেয়ে চন্দ্রা এলাকার আবদুল করিম (৬৫) বলেন, ‘কম্বলটা পাইয়া উপকার হইল।’ বুখুঞ্জা গ্রামের আমেনা বেগম (৭৫) বলেন, ‘কম্বল পাইয়া বালাই হইল। এহন আর জারে কষ্ট করন লাগব না।’

নড়াইলের কালিয়ায় গতকাল ও লোহাগড়ায় বৃহস্পতিবার মোট ১১৫ জনকে কম্বল দেওয়া হয়। এর মধ্যে কালিয়ার নোয়াগ্রাম বাজার এলাকায় গতকাল কম্বল দেওয়া হয়। পরে নোয়াগ্রাম, কলামনখালী, বাজেবাবরা ও আমতলা গ্রামে বাড়ি বাড়ি গিয়ে দরিদ্রদের হাতে কম্বল তুলে দেওয়া হয়। এ সময় মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত হোসেন ও রেজাউল হক মোল্লা, ইউনাইটেড একাডেমির প্রধান শিক্ষক আশরাফ আলী মোল্লা, লুৎফর রহমান মণ্ডল উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার লোহাগড়ার আর এল পাশা, কাশিপুর ও বাকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দরিদ্র শিক্ষার্থীদের কম্বল দেওয়া হয়। তখন বাকা বিদ্যালয়ের সভাপতি রেজাউল করিম, শিক্ষক সামিরা ইয়াসমিন, নাজমা আকতার ও শফিকুল ইসলাম, কাশিপুর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহ আলম, শিক্ষক গোবিন্দ ঘোষ, কাকলি দাস, আবু দাউদ ও মিনা রানি এবং আর এল পাশা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সামছুন্নাহার, সহকারী শিক্ষক মাসুদা সুলতানা, মিহির কামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।