মাদকাসক্তিকে দেখতে হবে রোগ হিসেবে

অনুষ্ঠানে মাদকাসক্ত ব্যক্তি ও তাঁদের অভিভাবকদের বিভিন্ন পরামর্শ দেন মনোেরোগ বিশেষজ্ঞরা।
অনুষ্ঠানে মাদকাসক্ত ব্যক্তি ও তাঁদের অভিভাবকদের বিভিন্ন পরামর্শ দেন মনোেরোগ বিশেষজ্ঞরা।

মাদকাসক্তি নিরাময়ে পরিবারেই উপযুক্ত পরিবেশ প্রয়োজন। অনেক পরিবার মাদকাসক্তিকে অপরাধ মনে করে গোপন রাখে। দুই-এক দিন পর ঠিক হয়ে যাবে এমন ভাবে। কিন্তু তত দিনে আসক্তির মাত্রা আরও বাড়ে। মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিলেন, মাদকাসক্তিকে অপরাধ হিসেবে না দেখে বরং রোগ হিসেবে দেখতে হবে। অন্যান্য রোগের মতো এটিরও গুরুত্বসহকারে চিকিৎসা করানো প্রয়োজন।

গতকাল শনিবার বিকেলে ধানমন্ডির ডব্লিউভিএ মিলনায়তনে প্রথম আলো ট্রাস্ট মাদকবিরোধী আন্দোলনের উদ্যোগে মাদকবিরোধী পরামর্শ সহায়তার ৯৩তম আয়োজনে চিকিৎসকেরা এ পরামর্শ দেন। ৯৪তম আয়োজন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১২ মে।

 প্রথম আলো ট্রাস্টের জ্যেষ্ঠ কর্মসূচি ব্যবস্থাপক ফেরদৌস ফয়সালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মাদকাসক্ত ব্যক্তি ও তাঁদের অভিভাবকদের বিভিন্ন পরামর্শ দেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মোহিত কামাল, সহকারী অধ্যাপক ফারজানা রহমান, সহযোগী অধ্যাপক আহমেদ হেলাল ও কেন্দ্রীয় মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের আবাসিক চিকিৎসক রাহানুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক মেঘলা সরকার, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক জিল্লুর রহমান ও বারডেম জেনারেল হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক নাসিম জাহান।

পরামর্শদান শেষে আলোচনা অনুষ্ঠানে অধ্যাপক মোহিত কামাল বলেন, মাদকের সঙ্গে মেয়েদের জড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। হতাশা ও অস্থিরতা থেকে ধীরে ধীরে ওষুধ সেবনের মাত্রা আরও বাড়ে। ফারজানা রহমান বলেন, ‘আমরা হতাশাগ্রস্ত বাবা-মা ও তাঁদের সন্তানদের দেখতে চাই না। আমরা চাই সুখী ও তারুণ্যের বাংলাদেশ দেখতে।’

অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া এক অভিভাবক চিকিৎসকদের কাছে জানতে চান, মাদক সেবন করলেই সিজোফ্রেনিয়া হয় কি না? উত্তরে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক জিল্লুর রহমান জানান, মাদক না নিলেও সিজোফ্রেনিয়া হয়। তবে মাদক সেবনে এর মাত্রা বাড়ে। একই সঙ্গে রোগী আরও বেশি মানসিক অস্থিরতায় ভোগেন ও তাঁর উদ্ভট কথা বলার পরিমাণ বাড়ে।

সন্তান বা পরিচিত কারও মাদক সেবনের তথ্য জানার পরই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসক রাহানুল ইসলাম।