বাঁচানো গেল না অ্যাসিডদগ্ধ তানজিমকে

তানজিম আক্তার
তানজিম আক্তার

অ্যাসিডদগ্ধ তানজিম আক্তার (মালা) মারা গেছে। শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর সিটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। হাসপাতালটির বার্ন ইউনিটের প্রধান অধ্যাপক মো. শহিদুল বারী প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ১৪ মে দিবাগত রাতে নিজের ঘরে ঘুমন্ত তানজিম (১৬) ও তার ছোট বোন মারজিয়ার (৭) ওপর অ্যাসিড ছুড়ে মারে মহব্বত হাওলাদার নামের এক তরুণ। তানজিমদের বাড়ি ভোলা সদরের উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নে। পরদিন ভোলা সদর মডেল থানায় তানজিমের মা মামলা করেন।

অ্যাসিডে তানজিমের শ্বাসনালি পুড়ে যাওয়ার পাশাপাশি এক চোখ, এক কান ও নাকের খানিকটা গলে যায়। আরেক চোখের অবস্থাও ভালো ছিল না। মুখ থেকে বুকের নিচ পর্যন্ত গভীরভাবে দগ্ধ হয়। চিকিৎসকেরা জানান, তানজিমের শ্বাসনালিসহ শরীরের ২৪ শতাংশ দগ্ধ হয়।

তানজিমকে প্রথমে রাজধানীর মিরপুরে অ্যাসিড সারভাইভরস ফাউন্ডেশন (এএসএফ) হাসপাতালেই ভর্তি করা হয়। পরে রাজধানীর সিটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। ওই হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ছিল তানজিম। সেখানেই শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

তানজিম ও মারজিয়ার বাবা মো. হেলাল রাঢ়ী চট্টগ্রামে রংমিস্ত্রির কাজ করেন। দুই ছেলে ও তিন মেয়েকে নিয়ে তাঁর স্ত্রী ভোলায় থাকেন। তানজিম ভোলা থেকে এসএসসি পাস করে। দুই মাস আগে মুঠোফোনে রং নম্বরের মাধ্যমে মহব্বত হাওলাদার (১৯) নামের একজনের সঙ্গে তানজিমের পরিচয় হয়। তিনি তানজিমের ভালো-মন্দের খোঁজ নিতেন। তানজিমের সঙ্গে অন্য কোনো ছেলের প্রেমের সম্পর্ক আছে—মূলত এ সন্দেহের কারণেই মহব্বত অ্যাসিড মারেন। সন্দেহজনক আসামি হিসেবে গ্রেপ্তারের পর ২৬ মে মহব্বত হাওলাদার ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে অ্যাসিড মারার কথা স্বীকার করেন। এখন তিনি কারাগারে আছেন।

আরও পড়ুন...